সোমবার, ১৮ জুন, ২০১২

হাদীসের নির্বাচিত দোয়াসমূহ

              


(১) হে আল্লাহদৃষ্টির অন্তরালবর্তী ও দৃষ্টিগ্রাহ্য সকল বিষয়ে যেন তোমাকে ভয় করতে পারি হে আল্লাহযদি জীবন আমার জন্য কল্যাণকর হয়তাহলে আমাকে জীবিত রাখআর যদি মৃত্যু আমার জন্য কল্যাণকর হয় তাহলে আমাকে মৃত্যু দান কর। সেই তাওফিক প্রার্থনা করি। আমি তোমার নিকট প্রার্থনা করি সত্য কথা বলার তাওফিকখুশি ও ক্রোধ উভয় অবস্থাতেই। আমি তোমার নিকট প্রার্থনা করি মিতব্যয়িতারসচ্ছল-অসচ্ছল উভয়াবস্থায়। প্রার্থনা করি এমন নেয়ামত যা শেষ হবার নয়। প্রার্থনা করি যা চক্ষু জুড়াবে অনিঃশেষভাবে। আমি তোমার নিকট চাই তকদিরের প্রতি সন্তুষ্টি। আমি তোমার নিকট চাই মৃত্যুর পর সুখময় জীবন। আমি তোমার নিকট কামনা করি তোমাকে দেখার তৃপ্তি,আমি কামনা করি তোমার সহিত সাক্ষাৎ লাভের আগ্রহ-ব্যাকুলতা যা লাভ করলে আমাকে স্পর্শ করবে না কোন অনিষ্ট,আর আমাকে সম্মুখীন হতে হবে না এমন কোন ফেৎনার যা আমাকে পথভ্রষ্ট করতে পারে। হে আল্লাহতুমি আমাদেরকে ঈমানের অলংকার দ্বারা বিভূষিত কর আর আমাদেরকে বানাও পথ প্রদর্শক ও হেদায়েতের পথিক। --নাসায়ি : ৫৪/৩

(২) হে আল্লাহতুমি আমার প্রভু তুমি ছাড়া কোন ইলাহ নেই। তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছ আর আমি হচ্ছি তোমার বান্দা এবং আমি আমার সাধ্য-মত তোমার প্রতিশ্রুতিতে অঙ্গীকারাবদ্ধ রয়েছি। আমি আমার কৃতকর্মের অনিষ্ট হতে তোমার আশ্রয় ভিক্ষা করি। আমার প্রতি তোমার নিয়ামতের স্বীকৃতি প্রদান করছিআর আমি আমার গুনাহ-খাতা স্বীকৃতি করছি। অতএব তুমি আমাকে মাফ করে দাও নিশ্চয়ই তুমি ভিন্ন আর কেউ গুনাহ মার্জনাকারী নেই।--বোখারি : ৫৮৩১ 

(৩) হে আল্লাহআমি তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি পদস্খলন অথবা পদস্খলিত হওয়া থেকে। পথ হারিয়ে ফেলা অথবা অন্য কর্তৃক পথভ্রষ্ট হওয়া থেকে। কারও উপর জুলুম করা থেকে অথবা কারো নির্যাতিত হওয়া থেকে। কারও সাথে মূর্খতা-পূর্ণ আচরণ করা থেকে অথবা অন্যের মূর্খতা-জনিত আচরণে আক্রান্ত হওয়া থেকে।--নাসায়ি : ৫৩৯১

(৪) হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট উপকারী বিদ্যাগ্রহণযোগ্য আমল এবং পবিত্র জীবিকা প্রার্থনা করি।--ইবনে মাজা : ৯১৫ 

শুক্রবার, ১৫ জুন, ২০১২

আষাঢ় বন্দনা



বৃষ্টি হোক বা না হোক আজ আষাঢ়ের প্রথম দিন। ষড়ঋতুর পর্যায়ক্রমে বাংলার প্রকৃতিতে দ্বিতীয় ঋতু হিসেবে বর্ষার আগমন ঘটেছে। প্রচণ্ড গরম দিয়ে গ্রীষ্মের বিদায় হলেও আজ বর্ষার প্রথম দিনের ভোর থেকেই রাজধানীতে সূর্য উঠেনি। সূর্যও যেন বর্ষাকে বরণ করে নিয়েছে। কালো মেঘে ঢাকা সমস্ত আকাশ। এমন মুখর পদধ্বনি, এমন গম্ভীর প্রকাশবার্তা আর কোনো ঋতুর নেই। তাই বসন্তকে যদি ঋতুরাজ বলা যায়, বর্ষা হল ঋতুরানী।