শুক্রবার, ১২ অক্টোবর, ২০১২

ভালোবাসা



ভালোবাসার মাঝে কখনো সুখ, কখনো দুঃখ
ভালবাসা কখনো হাসায়, কখনো দুঃখ দেয়।
ভালবাসার মানুষ যখন অবজ্ঞা করে তখন কেমন কষ্ট হয় বুঝি,
ভালবাসার মানুষকে ভুলেথাকার ভান করা যায়, ভুলা যায় না
                                  
ভালোবাসার সংজ্ঞা বিতর্ক,অনুমান এবং অন্তর্দর্শনের উপর প্রতিষ্ঠিত। অনেকেই ভালোবাসার মত একটি সর্বজনীন ধারণাকে আবেগপ্রবন ভালোবাসা, কল্পনাপ্রবন ভালোবাসা কিংবা প্রতিশ্রুতিপূর্ণ ভালোবাসা এসব ভাগে ভাগ করার পক্ষপাতী নন। তবে এসব ভালোবাসাকে শারীরিক আকর্ষনের উপর ভিত্তি করে শ্রেণীবিন্যাস করা যেতে পারে। সাধারণ মতে, ভালোবাসাকে একটি ব্যক্তিগত অনুভূতি হিসেবে বিবেচনা করা হয় যেটা একজন মানুষ অপর আরেকজন মানুষের জন্য অনুভব করে। কারোপ্রতি অতিরিক্ত যত্নশীলতা কিংবা প্রতিক্ষেত্রে কারো উপস্থিতি অনুভব করা ভালোবাসার সাথেই সম্পর্কযুক্ত। অধিকাংশ কথ্য ধারণায়,ভালোবাসা নিঃস্বার্থতা, স্বার্থপরতা, বন্ধুত্ব, মিলন, পরিবার এবং বন্ধনের সাথে গভীরভাবে যুক্ত।

ভালোবাসার সাধারণ এবং বিপরীত ধারণার তুলনা করে ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ভালোবাসাকে কঠিনভাবে বিচার করা যায়। ধনাত্নক অনুভূতির কথা বিবেচনা করে ভালোবাসাকে ঘৃণার বিপরীতে স্থান দেয়া যায়। ভালোবাসায় যৌনকামনা কিংবা শারীরিক লিপ্সা একটা গৌণ বিষয়। এখানে মানবিক আবেগটাই বেশী গুরুত্ববহন করে। কল্পনাবিলাসীতার একটা ক্ষেত্রও এই ভালোবাসা, ভালোবাসা সাধারণত শুধুমাত্র বন্ধুত্ব্ব নয়। যদিও কিছু সম্পর্ককে অন্তরংগ বন্ধুত্ব বলেও অবিহিত করা যায়।

ভালোবাসা! ছোট একটা শব্দ। কিন্তু এই ছোট শব্দটাই পুরা অদ্ভুত একটা শব্দ। এর মানে যে কি বুঝা বড়ই কঠিন। এক একেক সময় একেক আকার ধারণ করে। এটার কোন সংজ্ঞা নেই, মাপকাঠি নেই! কহলিল জিবরান বলেছেন,
ভালোবাসা দেয় না কিছু, শুধু নিজেকে ছাড়া;
ভালোবাসা নেয় না কিছু, শুধু ভালোবাসা ছাড়া।
ভালোবাসা অধিকার করে না কিছু্ই, না তাকে অধিকার করা যায়;
কেননা, ভালোবাসা সুসম্পন্ন ভালোবাসাতেই।

ভালোবাসার সংজ্ঞা বিতর্ক,অনুমান এবং অন্তর্দর্শনের উপর প্রতিষ্ঠিত। ভালোবাসার মাঝে মানবিক দিকটাই বেশী হওয়া উচিত। তাহলে সে ভালোবাসায় শ্রদ্ধাও সমান পরিমাণে থাকবে। তবেই সে ভালোবাসা স্থায়ী হবে হয়ত। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন