রবিবার, ৩ মার্চ, ২০১৩

হৃদরোগ থেকে বাঁচার উপায়



যারা হৃদরোগে আক্রান্ত এবং হৃদরোগ প্রতিরোধ করতে চান তাদের জন্য আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে কিছু নিয়ম মেনে চলতে বলেছেন। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো-
অধিকতর শারীরিক পরিশ্রম
আপনার কর্মশীলতাই হৃদরোগ ঝুঁকি কমিয়ে দেবে। প্রতিদিন ন্যূনতম ৩০ মিনিট ব্যায়ামের ফলে হৃদরোগ ঝুঁকি কমবে। নিয়মিত ব্যায়াম রক্তচাপ কমায়, ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়, ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে, ওজন নিয়ন্ত্রণ করে এবং নিজের মধ্যে সুস্থতার অনুভূতি এনে দেয়।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ


কোলেস্টেরল এক ধরনের নরম চর্বি জাতীয় দানাদার পদার্থ, যা আমাদের রক্তে এবং দেহকোষে থাকে। কোলেস্টেরল শরীরের একটি স্বাভাবিক উপাদান, যা কোষের আবরু এবং হরমোন তৈরির উপাদান। কিন্তু অতিমাত্রার কোলেস্টেরল হৎপিণ্ড এবং রক্তনালির অসুখের ঝুঁকি বাড়ায়।


কোলেস্টেরলের দুটি উৎস। যার একটি হচ্ছে আমাদের শরীর এবং অন্যটি খাদ্য। আমাদের রক্তে যে পরিমাণ কোলেস্টেরল থাকে তার মধ্যে লিভার বা যকৃৎ এবং দেহকোষ থেকে ৭৫% কোলেস্টেরল উৎপন্ন হয়। ২৫% আসে খাদ্য থেকে।


রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা

উচ্চ রক্তচাপ হার্ট অ্যাটাকের বড় ধরনের ঝুঁকি। অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে এবং আপনার মৃত্যুর কারণও হতে পারে। এটাকেনীরব ঘাতকবলা হয়। কারণ এটা অনেক সময় কোনো শারীরিক উপসর্গ ছাড়াই বিদ্যমান থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, খোদ আমেরিকায় প্রতি তিনজনে একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের উচ্চ রক্তচাপ আছে।

ধূমপান থেকে বিরত থাকা


অল্প বয়সে মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে যাওয়ার অন্যতম উপায় ধূমপান পরিত্যাগ করা। ধূমপান অ্যাথোরোসক্লেরোসিস এবং অনেক Chronic অসুখ বিসুখের কারু। রক্তনালিতে চর্বিজমা হলে একে অ্যাথোরোসক্লেরোসিস বলে। মানুষের হার্টের রক্তনালিতে চর্বি জমে করোনারি আরটারি ডিজিজ সৃষ্টি হয়ে স্ট্রোক এবং মাওয়োকারডিয়াল ইনফারকশনের ঝুঁকি বাড়ায়। অ্যাথোরোসক্লেরোসিস প্রতিরোধ করতে পারলে বা কমাতে পারলে এসব অসুখ থেকে মুক্ত থাকা যাবে।

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন


যাদের বয়স ২০ এবং তার চেয়ে বেশি তারাই ওজন অধিক্য বা স্থূলতাজনিত রোগে ভোগেন বেশি। করোনারি আরটারির অসুখের জন্য অতিরিক্ত ওজনকে প্রধানত একক প্রধান কারণ হিসেবে দায়ী করা হয়। কোমরে বেশি চর্বি জমে কোমরের মাপ বেড়ে গেলে তা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়। পাশাপাশি অতিরিক্ত ওজন খারাপ কোলেস্টেরলের বাড়াতে ভূমিকা পালন করে।


ধূমপান এড়িয়ে চলতে হবেসিগারেটের নিকোটিন রক্তনালীকে সংকুচিত করে রক্ত প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে
দুশ্চিন্তা পরিহার করতে হবে
ওজন, ডায়বেটিস এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে
হাঁটাহাঁটির অভ্যাস রাখতে হবে,ব্যায়্যাম করতে হবে
সম্পৃক্ত চর্বি; যেমন গরুর মাংস, মাখনঘি ইত্যাদি পরিহার করতে হবে
অসম্পৃক্ত চর্বি যেমন সয়াবিন তেল, মাছ, মাছের তেল, ইত্যাদি ভালো
মদ্যপান এবং কফি পান পরিহার করতে হবে
লবণ খাওয়া কমাতে হবে
আঁশ সমৃদ্ধ খাবার বেশি খেতে হবে
নিয়মিত ওষুধ সেবন করতে হবে, চিকিৎসক না বললে ওষুধ বাদ দেয়া যাবে না।

হার্টএ্যাটক হলেই মৃত্যু অবধারিত নয়, সময় মত ব্যবস্থা নিলে রোগীকে বাঁচানো সম্ভব। এরপর নিয়ম
মেনে জীবন যাপন করলে পুনরায় হার্ট এ্যাটাকের ঝুঁকি এড়ানো যায়।


HOW TO SURVIVE A HEART ATTACK WHEN ALONE ??
==============================================
Since many people are alone when they suffer a heart attack, without help, the person whose heart is beating improperly and who begins to feel faint, has only about 10 seconds left before losing consciousness.

However, these victims can help themselves by coughing repeatedly and very vigorously. A deep breath should be taken before each cough, and the cough must be deep and prolonged, as when producing sputum from deep inside the chest.

A breath and a cough must be repeated about every two seconds without let-up until help arrives, or until the heart is felt to be beating normally again.

Deep breaths get oxygen into the lungs and coughing movements squeeze the heart and keep the blood circulating. The squeezing pressure on the heart also helps it regain normal rhythm. In this way, heart attack victims can get to a hospital. Tell as many other people as possible about this. It could save their lives!! 

!~Collected~!



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন