স্কিজোফ্রেনিয়া এমন একটি মানসিক রোগ যা আমাদের আশেপাশে যেকোন মানুষের ভেতরে থাকতে পারে। সে আপনার সব থেকে কাছের বন্ধু হতে পারে, সে আপনার ভাই-বোন হতে পারে, আপনার অফিসের কলিগ হতে পারে, এমনকি আপনার জীবনসঙ্গীও হতে পারে। ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এই রোগ যার হয় সে ধরতেই পারেনা, আর ধরতে পারলেও চিকিৎসা করাতে চায়না।কিছুটা ভয় থেকে, কিছু অবজ্ঞা ও অবহেলা থেকে।
আগেও একবার বলেছি,আমাদের দেশে হৃদরোগ থেকে শুরু করে অন্যান্য শারীরিক জটিল ব্যাধির জন্যে আমরা যে পরিমাণ চিন্তিত হয়ে পড়ি, কিন্তু মানসিক স্বাস্থ্য বলে যে কিছু একটা আছে আমরা একেবারেই ভুলে যাই। স্কিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত রুগী সামাজিক ও ব্যক্তিগত জীবনে বিভিন্ন রকম সমস্যার সম্মুখীন হন, যেটা আস্তে আস্তে তার জগতকে আর সবার থেকে সম্পূর্ণভাবে আলাদা করে দেয়। এই রোগের ভয়াবহতা একেক রুগীর ক্ষেত্রে একেকরকম হয়। একটা সময় ধারণা করা হত যে স্কিজোফ্রেনিয়া বেশীরভাগ টিনেজারদের এবং ১৯-২৩ বয়সীদের হয়ে থাকে। কিন্ত এখন সে ধারণা পাল্টে গিয়েছে। এ রোগ যেকোন বয়স ও পৃথিবীর যেকোন প্রান্তেই হতে পারে। অনেকে মনে করে স্কিজোফ্রেনিয়া আর “ডুয়েল পারসোনালিটি/ দ্বৈত সত্ত্বা” একই রোগ। আবার অনেকের কাছে এদুটো সম্পূর্ণ আলাদা। এই বিষয়টা এখনও যুক্তি তর্কের মধ্যেই থেকেই গিয়েছে।