পাংথুমাই খাসিয়া শব্দ। এখানে এক সময় খাসিয়াদের বসবাস ছিলও। এখনো সেখানে রয়েছে খাসিয়াদের বড় একটি অংশ। গোয়াইনঘাট উপজেলার এই গ্রামটি হচ্ছে পাংথুমাই। পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের একটি গ্রাম পাংথুমাই। এই গ্রামের মুল সৌন্দর্য হচ্ছে মেঘালয় পাহাড় থেকে বেয়ে আসা দারুণ একটি ঝর্ণা। ঝরনাটি ভোগোলিক ভাবে ভারতে অন্তর্ভুক্ত। তাই আমরা বাঙালি এবং বাংলাদেশীরা শুধু দূর থেকেই দেখি এর সৌন্দর্য। খুব কাছে যেতে না পারায় পার্সোনালি আমার খুব খারাপ লেগেছে। নির্দিষ্ট একটা সীমানা থেকেই আমাদের এটা দেখতে হয়। অনেক উচু পাহাড় থেকে বেয়ে এসেছে বিশাল ঝরনা’টি। দূর থেকে দেখে মনে হয় সবুজের বুকে সাদা কাপড় বিছিয়ে রেখেছে। ঝর্ণাটি স্থানীয়ভাবে মায়ামতি এবং ফাটাছড়া ঝর্ণা নামেও পরিচিত। পর্যটকদের কাছে সাধারণত পাংথুমাই ঝর্ণা নামেই পরিচিত। বিছানাকান্দি থেকে পাংথুমাই যাওয়ার পথেও দেখা যাবে দু’পাশে সবুজের সমারোহ। যা দেখে সহজেই চোখ জুড়িয়ে যায়।
বিছানাকান্দি এবং
পাংথুমাই দুটো জায়গা কাছাকাছি হওয়ায় কিছু ছবি অনেকটা কাছাকাছি রকম। এখানের অনেক
ছবি পাংথুমাই যাওয়ার পথে তোলা। ঝর্ণা এবং তার আশেপাশের অল্প কিছু ছবি শুধু
পাংথুমাই’এর। হাদারঘাট থেকে
বিছানাকান্দি যেতে চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ মিনিট লাগে।বিছানাকান্দি থেকে পাংথুমাই যেতে প্রায় এক ঘন্টা লাগে। বিছানাকান্দি যেতে হলে প্রথমে
যেতে হবে সিলেট শহরের আম্বরখানা পয়েন্টে। সেখান থেকে সিএনজি’তে জন প্রতি ৮০ টাকা
এবং ৫ জন মিলে নিলে ৪০০ টাকা রিজার্ভ করে হাদার ঘাট বাজার। সেখান থেকে
বিছানাকান্দি এবং পাংথুমাই যাওয়ার নৌকা আছে। ১০-১২ জন মিলে একটা নৌকা দুই জায়গার
জন্য ২ হাজার থেকে ২২’শ টাকা নিবে। শুধু বিছানাকান্দির জন্য ১২-১৫’শ টাকা নিবে।
Information source:
bd-protidin.com, GBnews24.com
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন