বিছানাকান্দি! নামটা কেমন জানি মনে হলেও, জায়গাটা অদ্ভুত সুন্দর। সিলেটের গোয়াইনঘাট
উপজেলায় বিছানাকান্দির অবস্থান। বিছানাকান্দির সৌন্দর্য কেবলই বর্ষা এবং তার
পরবর্তী সময়। শুষ্ক মৌসুমে খুব একটা বুঝা যায় না। তখন শুধু ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা পাথর
গুলো ছাড়া আর কিছুই দেখা যায় না। কিন্তু বর্ষায় সেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা পাথরের গা
ঘেঁসে ছুটে চলে বিপুল জলরাশি। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে দুরের
চেরাপুঞ্জি এবং মেঘালয় পাহাড় থেকে নেমে আসে ঠাণ্ডা পানির স্রোত। পাথরের উপর
দিয়ে সেই পানির স্রোত বয়ে যায় পিয়াইন নদীতে। দেখতে অদ্ভুত সুন্দর লাগে। ঠিক যেনও
পাথুরে নদীর মত। এছাড়াও রয়েছে উচু নিচু পাহাড়ের সারি। দূর থেকে দেখে মনে হয় একে
অপরের উপর হেলান দিয়ে আছে। আর সাথে মেঘের খেলা। মেঘ, পাহাড় এবং আকাশের মধ্যে যে
গভীর একটা মিল সেটা বিছানাকন্দি গেলেই খুব ভালো বুঝা যাবে। বিছানাকান্দির উচু নিচু
পাহাড়ের সারি দেখে মনে হয় ঠিক শৈশবের অংকনের পাহাড় গুলোর মত। উচু নিচু পাহাড়ের
উপরে ভেসে থাকত মেঘের আভা। ঠিক যেনও শৈশবের স্বপ্নের পাহাড়ের মতই...
আম্বর খানা পয়েন্ট থেকে হাদার ঘাট যেতে প্রায় ১-১.৩০ মিনিট লাগবে। হাদারঘাট
থেকে বিছানাকান্দি যেতে চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ মিনিট লাগে।বিছানাকান্দি থেকে পাংথুমাই
যেতে প্রায় এক ঘন্টা লাগে। বিছানাকান্দি যেতে হলে প্রথমে যেতে হবে সিলেট শহরের
আম্বরখানা পয়েন্টে। সেখান থেকে সিএনজি’তে জন প্রতি ৮০ টাকা এবং ৫ জন মিলে নিলে ৪০০
টাকা রিজার্ভ করে হাদার ঘাট বাজার। সেখান থেকে বিছানাকান্দি এবং পাংথুমাই যাওয়ার
নৌকা আছে। ১০-১২ জন মিলে একটা নৌকা দুই জায়গার জন্য ২ হাজার থেকে ২২’শ টাকা নিবে।
শুধু বিছানাকান্দির জন্য ১২-১৫’শ টাকা নিবে।
Information source:
bd-protidin.com, GBnews24.com
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন