সোমবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১৪

অযাচিত কিছু কথা

আমার বাসা থেকে একটা সাইডে যেতে হলে হাতির ঝিল হয়েই যেতে হয়। যখন কোথাও যাওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে হাতির ঝিল যাওয়া হয়, তখন মনে হয় না হাতির ঝিল গিয়েছি। শুধু মাত্র হাতির ঝিল’কে উদ্দেশ্য করে গেলেই মনে হয় হাতির ঝিল গিয়েছি। ইদানিং প্রতিদিনই হাতির ঝিলের উপর দিয়ে আসা যাওয়া হয়। আগে শুধু মাঝে মাঝে রাতে একটু হাটাহাটির জন্য যেতাম বা মন খারাপ হলে, ভালো না লাগলে যেতাম। এই হাতির ঝিলে আসা যাওয়ার কারণে পুরোনো একটা অনুভূতি মোটামুটি প্রতিদিনই মনে হয়। আগে যখন মাঝে মাঝে ধানমন্ডি লেক যেতাম তখন এই অনুভূতিটা হত।


হাতির ঝিলে অনেকেই পরিবার, বন্ধু বা বান্ধবীদের নিয়ে আসে। এর মধ্যে সন্ধ্যার আগেই অনেকে বাসায় ফেরে। আবার অনেকে হাতিঝিলের রাতের সৌন্দর্য দেখার জন্য সন্ধ্যার পরও কিছু সময় থাকেন।  কিছু মানুষ সন্ধ্যার পর পরই সারিবদ্ধ ভাবে বসে যান সবুজ ঘাসের উপর। অনেকে জড়ো হয়ে গাজা সেবন এবং গানও করেন। আপত্তি’টা শুধু একজায়গায়। মাঝের কিছু মানুষ পথচারীদের তোয়াক্কা না করেই বিভিন্ন অসামাজিক কাজে লিপ্ত হওয়ার চেষ্টা করেন। অনেকে করে ফেলেনও। তাদের এই সামাজিক, অসামাজিক, বৈধ, অবৈধ ভালোবাসা দেখে মনে হয়, তাদের ভালোবাসা প্রকাশের জায়গার অভাব বা পারা পাবলিক প্লেস পছন্দ করেন।  না হলে তারা কেনও বাসা-বাড়ি, হোটেল ফেলে রাস্তাঘাট, গাছের চিপায় তাদের ভালোবাসার বহিপ্রকাশ করতে যাবেন! এটা পরিবেশ নষ্ট করা ছাড়া আর কিছুই না, আমি মনে করি।

উচ্চবিত্তরা এদিকে অনেকটাই ভদ্র। তারা যাই করুক, সেটা বৈধ হোক আর অবৈধ হোক তারা বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট, বাসা বা হোটেল’কেই প্রাধান্য দেয়। তাদের ভালোবাসা গুলো কিন্তু চারদেয়ালেই বন্ধী। :P তাও ভালো যে তারা পরিবেশের কোন ক্ষতি করছে না। যাই করছে সেটা তাদের একান্ত নিজস্ব। কিন্তু সেক্ষেত্রে গরীব আর মধ্যবিত্তদের ভালোবাসা তখন আর তাদের নিজস্ব থাকে না।

আমরা যাই করি না কেন, পরিবেশের ব্যাঘাত ঘটিয়ে, অন্যের ক্ষতি করে বা সমস্যা না করে করাই ভালো। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন