রবিবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০১৬

উনসত্তর থেকে পঁচাত্তর


উনসত্তরের গণঅভ্যুথানের সময় থেকে পঁচাত্তরের বাঙালী জাতীয়তাবাদের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটনাবলীর ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণ এই বইটি। অনেকটা দিনলিপি বা নিজের ডায়েরী লিখার মত।

বইটিতে তুলে ধরা হয়েছে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পুর্ববর্তী কিছু সময় এবং পরবর্তী সময়ের বিভিন্ন প্রেক্ষাপটমুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আমরা কমবেশি অনেকেই জানি। তবে এর মধ্যে কতটুকু সত্য সেটা আমাদের অনেকেরেই মনে শঙ্কা। সে হিসেবে এটি ভিন্নধর্মী।
যার মূল বিশেষত্বই হচ্ছে নিরপেক্ষতা। যা লেখক অত্যন্ত দক্ষতা এবং সাহসের সাথে করেছেন। যেটা অধিকাংশ লেখকই করতে পারেন না, দলীয়করণের কারণে। এতে সত্যিকারের ইতিহাস বের হয়ে আসে না এবং সত্যিকারের ইতিহাস গ্রহনযোগ্যতা হারায়। কিন্তু এই বইটি লেখক সম্পুর্ন নিজের প্রত্যক্ষ বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে লিখেছেন। নানান বিভাজনে বিভ্রান্ত, বিভক্ত জাতির এই প্রজন্মের কাছে এটি হতে পারে মুক্তিযুদ্ধের অনবদ্য এক দলিল। এ গ্রন্থের বিবরণী থেকে উঠে এসেছে পাকিস্তানি বাহিনী এবং তাদের দোসরদের ন্যাক্কার, পাশবিক কর্মকান্ড। যা আমাদের হৃদয়কে ব্যথিত করে আজো। এছাড়াও উঠে এসেছে নানান ভাবে বিভক্ত এই জাতির যুদ্ধ পরবর্তী রাজনীতি। যা এখনো আমাদের অনেকেরই অজানা।

ত্রিশোনকুর প্রথম লেখা ‘সোনার হরিণ’ ১৯৬৭/৬৮ তে ছাপা হয় চিটাগং-এর দৈনিক আজাদীতে। স্কুল, কলেজ জীবনে বিক্ষিপ্তভাবে বেশ কিছু কবিতা, গল্প লিখেছেন। সে সময়ের উল্লেখযোগ্য রচনা ছিলও রম্য সিরিজ ‘নিরো মামা সমাচার’। পড়াশুনা করেছেন সরকারী ল্যাবরেটরী হাই স্কুল ঢাকা, সরকারী জুনিয়র হাই স্কুল চিটাগং, ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ ও ডিফেন্স সার্ভিসেস অফিসার্স কমান্ড এন্ড স্টাফ কলেজে। প্রায় আঠারো বছর সরকারী চাকুরী শেষে ১৯৯৪ সালে তিনি অবসর নেন। লেখালেখির মাধ্যমেই এখন বেশির ভাগ সময় কাটান।

এই বইটির আরেকটি ভিন্নতা আছে। যা বইটির আরো পরিপূর্নতা লাভে সহায়ক হয়েছে। এই লিখাগুলো বই আকারে পুর্নাঙ্গ রুপ পাবার পুর্বে সামহোয়্যারইন ব্লগে পর্ব আকারে লিখা হয়েছিলো। সেখানে অনেক লেখক, ব্লগাররা তাদের মুল্যবান মন্তব্য করেছিলেন। সেখান থেকে যৎসামান্য তুলে ধরা হয়েছে বইয়ে। যা বইটির গ্রহণযোগ্যতা বাড়িয়ে দিয়েছে দ্বিগুণ।


বইটির প্রকাশক শব্দশৈলী। এছাড়া রকমারি.কম-এও বইটি পাওয়া যাচ্ছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন