কোয়ারেন্টিন মানে সংক্রমণ ঝুঁকি এড়ানোর উদ্দেশ্যে ব্যক্তির চলাফেরাকে
সীমাবদ্ধ করা। কোয়ারেন্টিন তাঁদের জন্যই প্রযোজ্য, যাঁরা রোগে আক্রান্ত হননি কিন্তু
রোগীর সংস্পর্শে এসেছেন, রোগের প্রাদুর্ভাবযুক্ত এলাকায় থেকেছেন, অর্থাৎ যাঁরা রোগ
ছড়াতে পারেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
কথাটা এসেছে ‘কোয়ারান্টাগাইরন’ থেকে, যার অর্থ ফরটি ডে (৪০ দিন)।
প্লেগের সময় জাহাজের মাল খালাস করার আগে ৪০ দিন তীরে ভিড়ে থাকতে হতো। সম্প্রতি চীনসহ
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসের কারণে কোয়ারেন্টিনের আগে কুষ্ঠ রোগ, পীতজ্বর বা
ইয়েলো ফিভার, কলেরার মতো রোগের বিস্তার ঠেকানোর জন্য এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। সাম্প্রতিক
সময়ের ইবোলাও এর একটা উদাহরণ।
কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশন এই দুটি বিষয় আমাদের কাছে একই রকম মনে
হলেও এর মধ্যে কিছুটা পার্থক্য আছে। রোগ ছড়ানোর ভয়ে রোগীকে যখন আলাদা রাখা হয়, সেটা
প্রোটেক্টিভ সিকোয়েস্ট্রশন (রিভার্স কোয়ারেন্টিন)। আক্রান্ত রোগীকে আলাদা ব্যবস্থায়
রেখে চিকিৎসা করাকে বলে আইসোলেশন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন