রবিবার, ৩১ আগস্ট, ২০১৪

বিছানাকান্দির বিছানায়


বিছানাকান্দি! নামটা কেমন জানি মনে হলেও, জায়গাটা অদ্ভুত সুন্দর। সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় বিছানাকান্দির অবস্থান। বিছানাকান্দির সৌন্দর্য কেবলই বর্ষা এবং তার পরবর্তী সময়। শুষ্ক মৌসুমে খুব একটা বুঝা যায় না। তখন শুধু ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা পাথর গুলো ছাড়া আর কিছুই দেখা যায় না। কিন্তু বর্ষায় সেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা পাথরের গা ঘেঁসে ছুটে চলে বিপুল জলরাশি। বাংলাদেশ-ভারত  সীমান্তে  দুরের  চেরাপুঞ্জি এবং মেঘালয় পাহাড় থেকে নেমে আসে ঠাণ্ডা পানির স্রোত। পাথরের উপর দিয়ে সেই পানির স্রোত বয়ে যায় পিয়াইন নদীতে। দেখতে অদ্ভুত সুন্দর লাগে। ঠিক যেনও পাথুরে নদীর মত। এছাড়াও রয়েছে উচু নিচু পাহাড়ের সারি। দূর থেকে দেখে মনে হয় একে অপরের উপর হেলান দিয়ে আছে। আর সাথে মেঘের খেলা। মেঘ, পাহাড় এবং আকাশের মধ্যে যে গভীর একটা মিল সেটা বিছানাকন্দি গেলেই খুব ভালো বুঝা যাবে। বিছানাকান্দির উচু নিচু পাহাড়ের সারি দেখে মনে হয় ঠিক শৈশবের অংকনের পাহাড় গুলোর মত। উচু নিচু পাহাড়ের উপরে ভেসে থাকত মেঘের আভা। ঠিক যেনও শৈশবের স্বপ্নের পাহাড়ের মতই... 

রবিবার, ১৭ আগস্ট, ২০১৪

দিনলিপি


মাঝে মাঝে কারণে অকারণে মন খারাপ হয়..বিক্ষিপ্ত হয়। তখনই হয়ত ইচ্ছে করে কোথাও হারিয়ে যেতে.. দুরে কোথাও! একবারে হয়ত সম্ভব হয় না কিন্তু কিছু সময়ের জন্য হলেও চাই সব সময়। ইট পাথরের এই শহরে কোথায় যাবো বুঝতে পারছিলাম না। তারপরে সিদ্ধান্ত হল উত্তরায় দিয়াবাড়ি যাবো। শুনেছি জায়গাটা খুব নিরিবিলি... হাটার জন্য, একটু ফ্রেশ বাতাসের জন্য উত্তম জায়গাটা। আসলেই জায়গাটা অনেক সুন্দর, অনেক নিরিবিলি। চারদিকে সবুজে আচ্ছাদিত। আমরা দু'জন হাউজ বিল্ডিং থেকে হাটা শুরু করেছি। বলতে গেলে পুরোটা রাস্তাই হেটে গিয়েছি। ঝিরিঝিরি বৃষ্টির সাথে চমতকার বাতাস ছিলো। হাটতে গিয়ে আমাদের মধ্যে তেমন ক্লান্তি ছিলো না। জায়গাটায় দেখার মত তেমন কিছু নেই কিন্তু তারপরেও জায়গাটা অনেক সুন্দর। হেটে বেশ ভালো লেগেছে.. শান্তি লেগেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সময়ের কারণে আর হাটা সম্ভব হয়নি। অনেক'টা বাধ্য হয়েই রিক্সায় করে ফিরেছি। মন'টা খুব ভালো না হলেও কিছুটা সময় শান্তিতে ছিলাম... 

বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট, ২০১৪

দিনলিপি

সকাল’টা শুরু হয়েছিলও বৃষ্টি দিয়ে,  ঠিক শেষ’টাও বৃষ্টি দিয়েই হচ্ছে। সব মিলিয়ে আজকের আবহাওয়াটা আমার জন্য বেশ ভালো ছিলও। যদি অনেকেরই জন্য ছিলও ভোগান্তির। বিশেষ করে অফিসিয়াল মানুষদের জন্য। আমি নিজেও ভুগেছি কিন্তু বেশ উপভোগও করেছি। কখনো ঝমঝমানো, আবার কখনো ঝিরঝিরে বৃষ্টি। এই আছে তো এই নেই। কয়েকবার ভিজে আবার শুকিয়েছি। তারপর আবার ভিজেছি। বেশ মজা লেগেছে...

এছাড়া আজকে হাতির ঝিলের পরিবেশ’টাও ছিলও চমকার এবং নিরিবিলি। বৃষ্টি থাকায় মানুষজন ছিলও না বেশি।  অন্যান্য দিনে  বিকেলে মানুষের জন্য হাটা যায় না।  তাই আমি সাধারণত ঝিলের পাড়ে যাই রাতে। বাসার কাছে হওয়ায় এই সুবিধাটা পাচ্ছি। যখনই ইচ্ছে হয় যেতে পারি। যেমনটা পারিনা পছন্দের ধানমন্ডি লেকে! তবে ব্যাপার হচ্ছে ইদানিং হাতির ঝিলে ইঁদুরের এতো উপাত, যা খুবই যন্ত্রণাদায়ক। ভয়ে ঘাসের উপর বসা যায় না। কখন কোন দিকে দৌড় দেয়! :P এছাড়া আজকের বৃষ্টিতে পানির পচা দুর্গন্ধটা অনেকটাই কমে গেছে। অন্যদিন ময়লা পানির পচা দুর্গন্ধ বাতাসে চারদিক ভেসে বেড়াতো। যা খুব অস্বস্তিকর...