শুক্রবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১১

বিজয়ের কথা


শীতের এই রাতে সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা।
ডিসেম্বর মাস মহান বিজয়ের মাস। শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি সেই স্বাধীনতা সংগ্রামে৩০ লাখ বীর শহীদ এবং ২লাখ মা-বোনকে যাদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগে অর্জিত হয়েছে আমাদের স্বপ্নের স্বাধীনতা। সহমর্মিতা জানাচ্ছি শহীদ পরিবারের সদস্য এবং যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি যখন বিজয়ের কথা বলি- তখন প্রতিযোগিতার প্রসঙ্গ আসে, আসে ত্যাগ-তিতিক্ষার কথাও। কারণ বিজয় আপনাতেই আসে না, অর্জন করতে হয়। যে বিজয় যত বড়, তার অর্জনও তত কষ্টসাধ্য।

ই যে ১৬ ডিসেম্বর আমরা বিজয় দিবস পালন করি। কিন্তু এই বিজয় দিবস কি শুধু আনন্দের দিন? এই বিজয় দিবসের সাথে জড়িয়ে আছে জাতির স্বপ্ন, জড়িয়ে আছে কোটি কোটি মানুষের আশা-আকাংখা আমাদের যে বিজয় দিবস তা যেমন মানুষের আশা-আকাংখার বিষয় ছিল, তেমনি ছিল জাতির স্বপ্নের বিষয়ও। পাকিস্তান আমলে আমরা ছিলাম পূর্ব পাকিস্তানের নাগরিক। স্বাধীন দেশের নাগরিক হলেও আমরা তখন স্বাধীনভাবে বিকশিত হতে পারিনি, এর কারণ শাসকদের ভুল সিদ্ধান্ত ও অন্যায় আচরণ।


তারপরেও এই দেশের মানুষের জীবনে বিজয়ের আনন্দ মানুষই উৎসবমুখর করে তোলে। এই উৎসবমুখর জীবনের জয়গানের প্রার্থনা ধ্বনিত হচ্ছে আজকের বাংলাদেশে। কারণ, শত দুর্যোগের পরেও মানুষ আছে মানুষকে জাগিয়ে তোলার জন্য। এখনো সংগীত-নাটক-সাহিত্য-শিল্প আছে মানুষকে উজ্জীবিত রাখার জন্য। এখনো বাংলা নববর্ষ, নবান্ন উৎসব আছে মানুষকে ঐক্যের ডাক দেয়ার জন্য। এখনো অমর একুশের চেতনা আছে পথ নির্ধারণ করে দেয়ার জন্য। এখনো শহীদ মিনার আছে মানুষকে সংগ্রামের পথে ডেকে তোলার জন্য। এবং একাত্তরের গৌরব আছে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকার জন্য।

এই গৌরবের মুকুটমণি বিজয় দিবস। এই দিনটি জাতির জীবনে ছড়িয়ে আছে বিশাল পরিসরে। মুক্তির সংগ্রামকে জাতীয় জীবনে অর্থবহ করার জন্য প্রয়োজন নানা কর্মকাণ্ডের আয়োজনে সফল হওয়া। এই কর্মকাণ্ড যেমন হওয়া প্রয়োজন সৃজনশীল, তেমনি হওয়া দরকার সুদূরপ্রসারী। সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনাই জাতিকে দিতে পারে স্থায়ী সমাধানের পথনির্দেশ। বিজয় দিবসের মহিমা জাতিকে উদ্বুদ্ধ করবে গৌরব অর্জনের পথে, এই বিশ্বাস হোক সবার প্রতিজ্ঞা।

বিজয়ের ৪০ বছর পুর্তিতে সবাইকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।
সকল মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সালাম এবং শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করছি।
শুভ বিজয় দিবস। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন