বুধবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১১

সত্ত্বার দ্রোহিনী


কঙ্কন বিদ্রোহিনী, ওগো আত্মার দ্রোহিনী!
সহস্র আশা আর বিস্তৃত ভালোবাসা
বুকে জড়িয়ে বিশ্বাসের আদর মেখেছিলাম প্রেয়সিনী
তুমি সেই বিশ্বাসের প্রাচীর ভঙ্গকারিনী!!

ধিক্কার তোমায় ধিক্কার!
কি আছে আর অধিকার-
তোমায় ফের জড়িয়ে নেবার?

বিশ্বাস সেতো পবিত্র এক স্বত্তিয় অনুভূতি,
ভাঙবেনা ভাঙবেনা – গেয়েছিলাম তোমার স্তুতি
সত্য-মিথ্যার ভেদাভেদ ভুলে কতশত মাতামাতি
ছি! আজ সব পাল্টে গেলো রাতারাতি!!

সময়ে সময়ে অসময় মেনে না নিয়ে
দু’জনে চড়ে বেড়িয়েছি জগৎ বিঁভুয়ে,
আজ শুধু কষ্টের মিলনমেলা,
বিশ্বাস ভেঙ্গে চুরে একাকার-হায়রে ছেলে খেলা!!

মনে মনে আঁকিবুঁকি, তোমায় নিয়ে আশা
ছলকে ছলকে উঠে আজ নিঃস্ব ভালোবাসা!
পাল্টে পাল্টে নিয়েছ তুমি পুরানো বেশভূসা
আমায় নিয়ে ভাবনা কর কি তুমি, একটুখানি তৃষা?

উন্নাসিক তুমি, তুমি পরম ছলনাময়ী
শেষবধি হয়েছ তুমি মোর আত্মাক্ষয়ী
সমাপ্তি তাই সমাপ্তি টানছি, নিস্তার হল তোমার!
মুক্তি দিলাম তোমায় আজ, দিলাম কৃপা বিধাতার!


আমার জন্য স্পেশাল একটা দিন ছিলো। যদিও স্পেসিফিক সেদিনটা স্পেশাল ছিলও না। কিন্তু দিনটাকে স্পেশাল করা হয়েছে ...:D। কারণ, আমার জন্মদিন ছিলো ১৮ই ডিসেম্বর। একটা সমস্যার কারণে সেদিন আর কারো সাথেই দেখা হয়নি। তারপর আজকে আমরা একত্রিত হলাম। জম্বেস একটা আড্ডা দিলাম। খুবই মজা লাগলো। সাথে ছিলেন আফরোজা আপু, অরণ্য, জাবিন, মাহমুদ ভাইয়া। মাহমুদ ভাই আমাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানালো। এই প্রথম সেদিন আমাকে কেউ একজন ফুল দিলো। অনুভূতি ছিলও অসাধারণ। আর আফরোজা আপু দিলো কিছু বই। আর আমার ছোট আপু জাবিন যে এসেছে, তাতেই আমি খুশি হইছি। এছাড়া ছিলও শাহরিন আপু। তখন তিনি আমাকে ভালভাবে চিনতে পারেনি।  আপুর কাজ থাকাতে আগেই চলে যেতে হল। সব মিলিয়ে দারুণ!! অনেকক্ষণ আড্ডা দেয়ার পর মাহমুদ ভাইকেও বিদায় দিয়ে আমরা বাকিরা বেশ জমিয়ে ছিলাম। তারপর আমরা পাবলিক লাইব্রেরীর ক্যাফেটেরিয়ায় গিয়ে বসলাম। আফরোজা আপু অরণ্যকে বলল একটা কবিতা লিখতে। ব্যাস, কিছুক্ষণের মধ্যেই অরণ্য লিখে ফেলল। তারপর আমাকে উপহার হিসেবে দিয়ে দিলো...:D। অরণ্যকে অনেক ধন্যবাদ আর সাথে আফরোজা আপুকেও...:) অন্যরকম কিছু সময় অতিক্রম করলাম। খুবই ভালো লাগলো। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন