আজ মঙ্গলবার বিশ্ব আদিবাসী দিবস । বরাবরের মত এবার ও নানা কর্মসূচি নিয়ে দিবসটি পালন করা হবে। দিবসটি পালিত হলেও আদিবাসীদের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয়নি। বরং দিন দিন তাদের উপর জুলুম-নির্যাতন, ধর্ষণ, জমি দখল, নির্যাতন বেড়েই চলেছে। ধর্ষণের বিচার না পেয়ে আত্মহত্যা করতে হচ্ছে তরুণীরা।
আদিবাসী সম্প্রদায় অধিকাংশই গরীব। ভূমিহীন দিনমজুর। শিক্ষার আলো প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে এখনো প্রবেশ করেনি। অনেক ক্ষেত্রে সভ্যতার ছোয়া লাগলেও এখনও পুরুষ আদিবাসীরা লজ্জা নিবারনের জন্য তারা কোন রকম পোশাক পরিধান করে থাকে।
আদিবাসীদের মধ্যে গোত্রভাগ অনেক। সাওতাল সম্প্রদায় ১১টি গোত্রে বিভক্ত। যেমন- কিসকু, মরমু, মারান্ডী, হেমরম, সোরেন, টুডু, বাসকে, বেসরা, চোড়ে ও পাওরিয়া। এই ১১টি গোত্র আবার ২৩৭টি উপগোত্রে বিভক্ত। প্রধান গোত্রগুলো হলো- টিকরী, মিনজী, টিগ্যা, খুজুর, নাকড়া, কিসকাট্টা, বরা, এক্কা, কেরকেটা। অন্যান্য আদিবাসী গোত্রগুলো হলো- মালো, মাহালী, মুনডা, মুসহর।
আদিবাসীদের মূল সমস্যা জমিজমা সংক্রান্ত। প্রভাবশালী ব্যক্তি কর্তৃক জোরপূর্বক জমি দখল। জমি দখলকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে মারামারি ও মামলা মোকাদ্দমা লেগেই রয়েছে। তাছাড়া আদিবাসীরা নির্যাতিত হলে সঠিক বিচার পায়না। তারা শিক্ষা বৈষম্যের শিকাার। তাই আমরা এর সঠিক সুরাহা চাই।
আদিবাসীদের বিভিন্ন দাবিঃ
আদিবাসীদের ভূমি সংক্রান্ত আইন পরিবর্তন করে নতুন অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে তাদের জমি শত্রু সম্পত্তির তালিকা থেকে বাতিল করে ক্ষতিপূরণ প্রদান, ধর্ম প্রতিষ্ঠান ও কবরস্থান পত্তন বন্ধ করা। এছাড়া জাতীয় সংসদে আদিবাসীদের জন্য পাঁচটি সংরক্ষিত আসনের ব্যবস্থা করা।
আদিবাসী ও সংখ্যালঘু জাতিসত্বা বিষয়ে শুধু দুঃখজনক নয়, বিভ্রানি-করও। এমন বিভ্রান্তি বিভ্রান্তি কর ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ একটি জাতিসত্বার এগিয়ে যাওয়ার লক্ষণ হতে পারে না। দোষারোপের সংস্কৃতি আর নিজেদের উর্ধ্বে তলা ধরার সংস্কৃতি থেকে মুক্ত হতে হবে বৃহ্ত্তর স্বার্থে। এই ব্যাপারে আমরা যথাযথ কর্ত্রী পক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন