শিশুরা হচ্ছে জাতির ভবিষ্যৎ এবং একই সাথে সমাজের সবচেয়ে দুর্বল অংশ । সেভ দি চিলড্রেন থেকে প্রকাশিত "বাংলাদেশে কর্মজীবী শিশু ম্যাথিউ এ কিং ও সহযোগী রায়ান এর নক্স" বইটিতে ব্লাঞ্চেট তার ১৯৯৬ সনে পরিচালিত গবেষণায় সম্পর্কে যে সংজ্ঞা দিয়েছেন তা হলো -যে মানব সন্তানের কিছু বোঝার ক্ষমতা নেই তাকে বলা হয় শিশু। এটা নির্ভর করে তার শারীরিক বিকাশ ও জীবনযাপন পরিস্থিতির উপর বয়স কমবেশী হতে পারে । ১৯৬৫ সালের কারখানা আইনে শিশু হিসেবে চৌদ্দ বছর বয়সের কম বয়সী শিশুকে বিবেচনা করে এ বয়সের শিশুদেরকে কারখানায় নিয়োগ দেয়া যাবে না বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

আজ বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও দিবসটি পালন করা হচ্ছে। এবারের শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবসের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে 'বিপদ সংকেত! শিশুরা ঝুঁকিপূর্ণ কাজে, আসুন শিশুশ্রম নিরসন করি। জীবনের সবচেয়ে আনন্দঘন সময়টি হচ্ছে শৈশব। তবুও বিশ্বের প্রচুর শিশুকেই এ সময়ে পারিবারিক প্রয়োজনে শিশু শ্রমে জড়িয়ে পড়তে হচ্ছে। যার পরিণতি অনেকক্ষেত্রেই অসুস্থতা বা ক্ষেত্র বিশেষে মৃত্যু পর্যন্ত। যদিও বিশ্বের অনেক দেশের মতো বাংলাদেশেও শিশু শ্রম বিরোধী আইন রয়েছে, তথাপিও প্রয়োজনের তাগিদে আজ অনেক শিশুই শ্রমজীবী।
আজকের শিশু জাতির সোনালী ভবিষ্যতের স্থপতি। সুন্দর কল্যাণকর জাতি গঠনের জন্য প্রয়োজন এমন সুন্দর পরিবেশ যেখানে জাতির ভবিষ্যত স্থপতিগণ সকল সম্ভাবনাসহ সুস্থ,স্বাভাবিক ও স্বাধীন মর্যাদা নিয়ে শারীরিক, মানসিক, নৈতিক, আধ্যাত্নিক এবং সামাজিকভাবে পূর্ণ বিকাশ লাভ করতে পারবে। শিশুদের জন্য এরূপ একটি পরিবেশ গঠন কারো দয়া বা অনুগ্রহের উপর নির্ভরশীল থাকলে চলবে না। এজন্য প্রয়োজন শিশুর অধিকার সম্বলিত উপযুক্ত ও প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন এবং তার সফল বাস্তবায়ন। আজকের এই বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবসে বিশ্বের প্রতিটি শিশুর উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছি। আসুন আমরা শিশুশ্রম প্রতিরোধ করি। আর এতে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন