সোমবার, ৬ জুন, ২০১১

আতংকের নাম বিশ্ববিদ্যালয়


শিক্ষা হচ্ছে জাতির মেরুদণ্ড। আর জাতির সরবোচ্ছ বিদ্যাপিঠ হল বিশ্ববিদ্যালয় । কিন্তু সেই বিশ্ববিদ্যালয় কেনো আতংকের নাম ? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শব্দটি শুনলেই বুকের ভেতর মোচর দিয়ে ওঠে। বিশ্ববিদ্যালয়য়ের কোনো ছাত্রকে দেখলে জড়িয়ে ধরে কাঁদেন। কারণ, এই বিশ্ববিদ্যালয়য়ে পড়তে গিয়েই তার ছেলে লাশ হয়ে ফিরেছে। পরিবারের একমাত্র সম্পদ, যাকে ঘিরে ছিলো একটি পরিবারের স্বপ্ন।মুরগি বিক্রি থেকে শুরু করে জমি পর্যন্ত বরগা দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু কোথায় গেলো সে স্বপ্ন ! আর শেষ হয়ে গেলো অনেকগুলো স্বপ্ন, শেষ হলো জাতির একজন কর্ণধার। আর এভাবেই হারিয়ে যায় হাজারো স্বপ্ন, হাজারো কর্ণধার।



একনজরে,
১. ১৩ মার্চ, ২০০৯
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
নোমান
২. ৩১ মার্চ, ২০০৯
ঢাকা মেডিকেল কলেজ
রাজিব
৩. ১লা ফেব্রুয়ারী,২০১০
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
আবু বকর
৪. ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১০
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
ফারুক
৫.১১ ফেব্রুয়ারী, ২০১০
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
মহিউদিদন
৬.২৯ মার্চ, ২০১০
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
রশীদ
৭. ১৬ এপ্রিল, ২০১০
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
আসাদুজজামান

৮. ১৫ আগষট, ২০১০
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
নাসিম

এভাবে কত রশীদ, কত নাসিম প্রাণ হারালে কর্তৃপক্ষ এর দিকে নজর দিবে। কর্তৃপক্ষ তাদের সাহায্য দিয়ে সান্ত্বনা দিচ্ছে । তবে এই সাহায্য কী একটি প্রাণের বিনিময়ে ?
সরকার কী এদের কোনো ব্যবস্থা নিবেনা ? আর কত মায়ের বুক খালি হলে, এই আতংকের সমাপ্তি হবে ? তাই সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
আমাদের সবচেয়ে বড় দুঃখ হল স্বাধীন দেশে আমরা পরাধীন হয়ে আছি। আর এই পরাধীনতা থেকে মুকতি পেতে হলে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে, আর সবাইকে আর একটু সচেতন হতে হবে। তবেই পরাধীনতা থেকে মুকতি আসবে।
আসুন, আমরা আমাদের জীবনকে মানুষের জীবনে পরিনত করি।আমরা অধিকার সম্পর্কে সচেতন উঠি । আর ব্যক্তি সাতন্ত্র্যতা ও মুক্তি চাই, বাঁচতে চাই।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন