অভিনন্দন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে! বাঘের গর্জন আবার শুনতে পেলো দেশবাসী। অনেক দিনপর বাঘের গর্জন শুনে খুশিতে নাচতে ইচ্ছে করছে।
এইতো সেদিন বলেছিলাম, হতাশার আরেক নাম বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম। মাঝে মাঝে এই দলটা জ্বলে ওঠে তবে বেশীর ভাগ সময়-ই নিভে থাকে। বিশ্ব ক্রিকেটে জন্ম দেয় নানা অঘটনের। কিন্তু আজকে কোন অঘটন ঘটেনি। এটা ইতিহাসের স্মরণীয় একটা ম্যাচ হয়ে থাকবে। অনেক উৎকণ্ঠারপর শচীন সেঞ্চুরি পেলো। যদিও এটা ইতিহাসে আলাদা ভাবে লিখা থাকবে। অবিশ্বরনীয় এক জয় পেল বাংলাদেশ !! শচীনের সেঞ্চুরির আনন্দ আর ম্যাচ শেষে থাকেনি। টাইগাররা সেটাকে স্লান করে দিয়েছে। খুব সুন্দর নৈপুণ্য খেলা দেখিয়েছে টাইগাররা। তামিম, জহিরুল, নাসির, সাকিব, মুশফিক তাদের জন্য রইলো স্পেশাল শুভেচ্ছা।
গড'স টিমেরো তাইলে থার্ড আম্পায়ারের ফেভার লাগে! লুলে লুলায়িত হইলাম ! সাকিবের নটআউট টা যে থার্ড আম্পায়ার কেন আউট দিলো সেটা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে না? আম্পায়ারের জন্য রইলো অন্তর থেকে ঘৃণা।
সাবাস বাংলাদেশ ক্রিকেট দল! হৃদয় থেকে ভালোবাসা তোমাদের জন্য। আমাদের গর্ব তোমরাই, তোমারাই পারো জাতিকে উদ্বেলিত করতে। অভিনন্দন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রতি সদস্যকে, অভিনন্দন সব ক্রিকেটপ্রেমীদের। অভিনন্দন প্রিয় বাংলাদেশ। এগিয়ে যাও.........! ♥ ♥ ♥
প্রতিবাদ হোক আমাদের ভাষায়!
এগিয়ে যাক আমাদের তরুণ প্রজন্ম। অভিনন্দন তাদেরকেও।
সংক্ষেপে ম্যাচ রিভিউঃ
ভারত ইনিংস: ২৮৯/৫ (ওভার ৫০)বাংলাদেশ ইনিংস: ২৯৩/৫ (ওভার ৪৯.২)
ফল: বাংলাদেশ ৫ উইকেটে জয়ী
২৯০ রানের লক্ষ্যে দলের খাতায় ১৫ রান আসলে সাজঘরে ফেরেন নাজিমুদ্দিন (৫) এরপর জহুরুলকে সঙ্গে নিয়ে ১১৩ রানের জুটি গড়েন তামিম। ১২৮ রানে প্রভীন কুমারের বলে জহুরুল (৫৩) ধরা পড়েন রোহিত শর্মার হাতে। এরপর স্কোরে আর ২৮ রান যোগ হওয়ার পর তৃতীয় উইকেটের পতন হয় বাংলাদেশের। প্রভীন কুমারের বলে তামিম (৭০)’র চমৎকার ক্যাচ লুফে নেন জাদজা।
তামিম সাজঘরে ফেরার পর ২২৪ রানে অশ্বিনের বলে স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হন সাকিব (৪৯) এরপর পঞ্চম উইকেট জুটিতে নাসির ও মুশফিকুর রহিম ৬৪ রান করে দলকে পৌঁছান জয়ের দোরগোড়ায়। তবে শেষমূহুর্তে ২৮৮ রানে সাজঘরে ফেরেন নাসির (৫৪) তবে নাসির ফিরলেও শেষপর্যন্ত হার না মানা ৪৬ রানের ইনিংস খেলে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছেই মাঠ ছাড়েন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।
এর আগে মেরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। ব্যাট করতে নেমে দলীয় ২৫ রানের মাথায় শফিউলের বলে বোল্ড হন গৌতম গম্ভীর (১১) দ্বিতীয় উইকেটে সচিনের সঙ্গে ১৪৮ রানের জুটি গড়ে সাজঘরে ফেরেন কোহলি। আব্দুর রাজ্জাকের বলে বোল্ড হন এই ডানহাতি।
৪৪তম ওভারের সাকিব আল হাসানের চতুর্থ বলে এক রান নিয়ে সচিন পৌঁছে গেলেন শতককের শতকে। লিটল মাস্টার সৃষ্টি করেছেন ক্রিকেট ইতিহাসের নতুন অধ্যায়। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটি তার ৪৯তম শতক। এদিন ৪৭ তম ওভারের চতুর্থ বলে মাশরাফির বলে রহিমের গ্লাভস বন্দী হন ওভারে মাশরাফির বলে তালুবন্দী হওয়ার আগে এই গ্রেটের ব্যাট থেকে আসে ১১৪ রান।
দলের খাতায় ২৫৯ রানে সচিন সাজঘরে ফেরার পর স্কোরে আর ৮ রান যোগ হতে রান আউট হন রোহিত শর্মা (৪) পঞ্চম উইকেট পতনের পর ধোনি (২১) ও জাদেজা (৪) শেষপর্যন্ত দলকে ২৮৯ রানের সংগ্রহ এনে দেন।
আজকের ম্যাচের কিছু ছবিঃ
http://www.youtube.com/watch?v=jAXekXZ9NyI ইউটিউব লিংক
http://www.youtube.com/watch?v=x9XONyDja0A&feature=player_embedded জ্বলে উঠো বাংলাদেশ
http://www.youtube.com/watch?v=x9XONyDja0A&feature=player_embedded জ্বলে উঠো বাংলাদেশ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন