বাংলাদেশ ক্রিকেট দল! বলতে গেলে, হতাশার আরেক নাম। মাঝে মাঝে এই দলটা জ্বলে ওঠে তবে বেশীর ভাগ সময়-ই নিভে থাকে। বিশ্ব ক্রিকেটে জন্ম দেয় নানা অঘটনের। কিন্তু আজকে কোন ঘটনাই ঘটাতে পারলো না। অল্পের জন্য মিস করলো। আরেকটু ভালো খেললে ম্যাচটা জিতে যেতো। সাকিব, তামিম আর নাসিরের রানের সুবাদের এতটুকু এগিয়ে গিয়েছিলো। খুব আশা করেছিলাম আজকের ম্যাচটি জিতবে বাংলাদেশ। অনেক আশা করেছিলাম বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন জানাবো। কিন্তু হয়েও হল না। সেই হতাশা নিয়েই পরাজয়ের পোস্ট লিখতে হল।
শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের উদ্বোধনী খেলায় টসে জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংেয় পাঠায় মুশফিক বাহিনী। শুরুটা খুব একটা ভালো হয়নি টাইগারদের। পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙ্গে ১৩৫ রানে। উইকেটের প্রান্ত বদল করতে গিয়ে রানআউট হন নাসির জামশেদ। ২৮তম ওভারে জামশেদকে রান আউট করে বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেয়ার কৃতিত্ব সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের। এরপর ইউনুস খান ১২ ও হাফিজ ৮৯ রান করে সাহাদাতের বলে আউট হয়ে সাজ ঘরে ফিরে। এভাবে শুরু হয় ছন্দপতন। ৪০ তম ওভারে উমর আকমল ২১ ও আফ্রিদিকে শূন্য রানে আউট করে সাকিব। পাকিস্তান তখন পুরা মাইনা চিপায় পরছে। ৪২ তম ওভারে মিসবাহকে বোল্ড করে রাজ্জাক। এরপর উমরগুল এসে খেলাটা আবার একটু জটিল করে ফেলেছিলো। ২৫ বলে ৩৯ রান করে মাশরাফি বলে বোল্ড হয় উমরগুল। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ২৬২ রানে করে পাকিস্তান। শাহাদাত হোসেন ৩টি, সাকিব ২টি, মাশরাফি ও রাজ্জাক নেয় একটি করে উইকেট।
২৬৩ টার্গেটে খেলতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছে দুই ওপেনার তামিম ও নাজিম উদ্দিন। ৩০ রান করে আজিজ চেমার বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন নাজিম উদ্দিন। অনেক দিন রান খরায় থাকা তামিম ৬৪ রান করে দলকে অনেকটা এগিয়ে দিয়েছেন। এরপর একে বিদায় নিলো জহিরুল, মুশফিক আর মাহমুদ উল্লাহ। সাকিবকে নিয়ে তামিন আরও কিছুটা এগিয়ে যাচ্ছিলো। এরপর হাফিজের বলে আউট হন তামিম। শেষ দিকে এসে জুটি গড়লেন নাসির আর সাকিব। এই জুটিটাই অনেক আশা জাগিয়ে ছিলো। তাদের এই জুটিতে রান আসে ৮৯। সাকিবের ফিফটির পর সাজঘরে ফিরে যান নাসির। ৪৭ রান করে আউট হয় গুলের বলে। এরপর শুরু হল আবার আসা যাওয়ার খেলা। একে বিদায় নেয় রাজ্জাক, মাশরাফি, শফিউল আর শাহাদাত। নাসিরের বিদায়ের পর ১৭ রানের ব্যবধানে শেষ ৪ উইকেট বাংলাদেশ। সাকিব ৬৪ রান করে অপরাজিত রয়ে গেলো। বাংলাদেশ ২৪১ রানেই গুটিয়ে গেলো। শহীদ আফ্রিদি, সাঈদ আজমল ও মোহাম্মদ হাফিজ নেন দুটি করে উইকেট। এছাড়া উমর গুল নেন তিনটি উইকেট। সাকিব একাই লড়ে গেলো শেষ পর্যন্ত। আবার প্রমান করলো সাকিব নিজেকে।
তারপরেও স্বপ্ন দেখি, বাংলাদেশ ক্রিকেট এগিয়ে যাবে অনেক দূর। জয় করবে বিজয়ের মুকুট। জয় হোক ক্রিকেটের, জয় হোক বাংলাদের ক্রিকেট দলের, জয় হোক সাকিবের। অভিনন্দন সাকিব, তামিম ও নাসির হোসেনকে। জয় হোক ক্রিকেটের, জয় হোক বাংলাদের ক্রিকেট দলের, জয় হোক সাকিবের। অভিনন্দন সাকিব, তামিম ও নাসির হোসেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন