আমি খুব একটা মিশুক নই। একা থাকতেই ভালবাসি। যদিও আমি একা নই। তারপরে আমার মনে হত আমি একা, একলা পথিক। আসলেই আমি একা নই। আমার মধ্যে একটা পরির বাস। সে লাল বা নীল পরি নয়! সে হচ্ছে আমার মেঘ পরি। ওর নামের সঙ্গে মেঘের অনেক মিল। তাই হয়ত ওর নাম মেঘপরি। আমি আমার পরিকে খুব ভালবাসতাম। এখনো বাসি। যদিও কিছু দিন আগে ও আমাকে ছেড়ে চলে গেছে। অবশ্য মাঝে মাঝে আসে ঠিক আশ্বিনের বৃষ্টির মতই। কিন্তু পরি মাঝে মাঝে এসেই আমাকে শাসন করে, ঘুম না এলে ঘুম পাড়ানি গান শুনায়।
অনেক দিন পরির সাথে দেখা হয় না, তাই মনটা খারাপ ছিলো। আশ্বিনের বৃষ্টির মত হঠাৎ করে আসে আবার হঠাৎ করে চলে যায়। মন খারাপ ছিলো বলে একটু হাটতে বের হলাম। হঠাৎ কি ভেবে পেছনে ফিরে তাকাই, ফিরেই দেখি আমার পরি!!! আমি তখন ঠিক জড় হয়ে পরিকে দেখছি। যাই হোক, অনেক দিন পর আমরা আবার দুজন দুজনার কাছে ফিরে এলাম। ফিরে আসার পর একে অপরকে আরও বেশি যেন অপরিচিত মনে হয়। আমাদের মধ্যে আগের মত কথা হয় না। অনেকে বলে, কম কথা বলা নাকি গভীর বোঝাপোড়ার লক্ষণ। কিন্তু আমাকে অবাক করে দিয়ে পরি হঠাৎ হেসে ওঠে ! আমি তখন অবাক হয়ে দেখছি সে হাসি!! অনেক দিন পর পরিকে কাছে পেয়ে আমি সত্যিই তখন আকাশে উড়ছি। পরিকে আমার বড্ড ছুঁতে ইচ্ছে করছে, কিন্তু কেনো যেনো পারছি না! হঠাৎ পরিই আমার হাতে হাত রাখে, আমি তখন সব ভুলে যাই। ভুলে যাই আমি অমিশুক, একলা পথিক।
আমি আর আমার পরি, দুজন দুজনার খুব কাছাকাছি। তখনো অনেক রাত! অনেকটা অন্ধকার! চারদিকে বৃষ্টির ছাঁট, মৃদু ঝিরঝির শব্দ। আশ্বিনের বৃষ্টি ঝাঁজ একটু কম যদি ও আমাদের ভালবাসার মত নয়। তারপর দুজন দুজনার হয়ে কি যেনো ভাবছি। হঠাৎ দেখি আমার পরি কাঁদছে!! পরির কান্না দেখে আমিও কেঁদে ফেলেছি। আমার অশ্রুতে ভিজে যায় পরি, আমিও পরির অশ্রুতে ভিজে যাই। যেনো আমরা দুজন দুজনার হয়ে কাঁদছি। পরি আমাকে বলে চল আমরা দুজন দুজনার হয়ে কোথাও হারিয়ে যাই!! আমি পরির কথায় কিছুটা অবাক হলেও রাজি হয়ে যাই। তারপর আমরা দুজন দুজনার হয়েই গন্তব্যহীন পথে হাটছি আর বিড়বিড় করছি,
We love to cry in tha rain, because nobody knows we’re crying........:'( :'(
তবুও বৃষ্টি তো ...........
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন