বৃহস্পতিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

প্রাণের উৎসবঃ বই মেলার দিনলিপি-৭


একুশ পার হলেও বইমেলায় বাঙ্গালির জোয়ার এখনো শেষ হয়নি। কারণ, একুশের চেতনা বাঙ্গালির অন্তরে সব সময় বিরাজমান। এ যেনো বাঙ্গালির অস্তিত্বে মিশে গেছে। শেষ মুহূর্তে এসেও বই মেলা জমে উঠছে আরও ভালোভাবে। ধাক্কা ঠেলা দিয়ে স্টলের সামনে জায়গা করে নিচ্ছেন এবং নিজেদের পছন্দমত বই কিনছেন বই প্রেমীরা। তবে, বই মেলায় ক্রেতার চেয়ে দর্শনার্থীর সংখ্যাটাই একটু বেশী।

বুধবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

প্রাণের উৎসবঃ বই মেলার দিনলিপি-৬


চলছে জমজমাট একুশে বই মেলা। বছর ঘুরে ফেব্রুয়ারি মাস এলেই বেজে উঠে একুশের সুর। এ মেলায় প্রতিদিনই ভিড় করছে বইপ্রেমী নানা বয়সের মানুষবসন্তের বিকেলে প্রতিদিন ক্লান্তি অবসাদ সবকিছুকে ছাপিয়ে বইমেলায় ভিড় জমায় নানা বয়সের মানুষভিড়-ভাট্টা, হট্টগোল কোনো কিছুই বাধা হতে পারেনা নতুন বইয়ের গন্ধ নেওয়ার আকুলতার কাছে মেলাসংলগ্ন রাস্তায় নানা রকমের বাদ্যযন্ত্র ও গাড়ির বিতিকিচ্ছিরি শব্দ, ফেরিওয়ালাদের হাঁকডাক। কিন্তু সবকিছুকে ছাপিয়ে গেল বইপ্রেমী মানুষের পদচারণ আর প্রাণের কোলাহল। ছেলে বুড়ো সবার পদচারণ মুখরিত হয় মেলার প্রাঙ্গন।

মঙ্গলবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

প্রাণের উৎসবঃ বই মেলার দিনলিপি-৫



চলছে বসন্ত। ফাগুন লেগেছে বনে বনে, শাখায় শাখায়, পাতায় পাতায়। তার রেশ ছড়িয়ে পড়েছে যান্ত্রিক এই শহরের বাসিন্দাদের মনেও। ফাগুনে প্রকৃতির যেমন হলুদের ছোঁয়া ক্রমশই বৃদ্ধি পায় তার সাথে তাল মিলিয়ে নাগরিক জীবনেরও যেন রং বদলায়। হলুদ আর লালে রঙিন হয়ে জানিয়ে দেয় ভালবাসার কথা। বাঙালিরা মেতে ওঠে উৎসবে! ভিন্ন এক ব্যঞ্জনায় রাঙিয়ে তোলে বাঙালির প্রাণের মেলাকে 'নবীন ফাগুন দিন, সকল বন্ধনহীন...' রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

অমর একুশে ফেব্রুয়ারি


বছর ঘুরে বাঙালির দুয়ারে 'অমর একুশে' কড়া নাড়লেই প্রাণে প্রাণে ধ্বনি-প্রতিধ্বনি হয় এ অমোঘ বাণী। আজ সেই অমর একুশে ফেব্রুয়ারি, অমর শহীদ দিবস। অমর একুশে শাশ্বত বাঙালির হৃদয়ে, মননে ও জীবনাচরণের এক ঐক্যসূত্র। স্মৃতির প্রাত্যহিকতায় একুশ অনন্য উজ্জ্বল একটি দিন। পলাশ,  শিমুল, রক্তরাগে প্রকৃতিকে রাঙিয়ে আসে বসন্ত। বসন্তের সম্মিলনে আমাদের চেতনায় আল্পনা এঁকে দেয় অমর একুশ। স্বজন হারানোর বেদনা আর অধিকার আদায়ের আনন্দে উদ্বেল একুশে ফেব্রুয়ারি তাই তো জাতির জীবনে অবিনশ্বর এক মহাউদযাপনে পরিণত হয়েছে বছরের পর বছর। এমন কালজয়ী দিন, ধর্ম-বর্ণ-গোত্র-দল-মত নির্বিশেষে উদযাপন করার জন্য সত্যিই দ্বিতীয়টি নেই।

শুক্রবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

প্রাণের উৎসবঃ বই মেলার দিনলিপি-৪


ভাষার মাস ফেব্রুয়ারিবাংলা একাডেমীতে বসেছে প্রাণের মেলামেলায় প্রতিদিন আসছে রং বেরঙের মলাটে মোড়ানো চকচকে নতুন বইপাঠকেরা ছুটছে প্রিয় লেখকদের বই কেনার জন্য এক স্টল থেকে অন্য স্টলেমেলায় প্রতিদিন নানান পেশার মানুষের ভিড় জমেলেখক পাঠকদের পদচারনায় মুখরিত হয় মেলার প্রাঙ্গন চারদিকে উৎসব মুখর একটা পরিবেশ।

বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

বন্দে মায়া লাগাইছেঃ শাহ আব্দুল করিম

তেরশো বাইশ বাংলায় জন্ম আমার
মা বলেছেন ফাল্গুন মাসের প্রথম মঙ্গলবার
১৯১৬ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারী, বাংলা ১৩২২সন, ফাল্গুন মাসের প্রথম মঙ্গলবার, বর্তমান সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার ধল আশ্রম নামক গ্রামে জন্মগ্রহন করে বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিম। জীবনের নানা ঘাত প্রতি ঘাত কাটিয়ে নিজেকে তুলে এনেছেন খ্যাতির চুড়ায়। দারিদ্র্যতার কারনে তিনি পড়াশুনা করতে পারেন নি। মাত্র আট দিন তিনি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা লাভের সুযোগ পেয়েছিলেন। বলতে গেলে তিনি জন্ম থেকে যুদ্ধ করছেন দারিদ্র্যতার সঙ্গে। রাখাল থেকেই কালপরিক্রমায় তিনি বাউল সম্রাটে রূপান্তরিত হন। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি নিজেকে বাউল শিল্পী হিসেবে পূর্ণরূপ দিতে শুরু করেছিলেন। তার গানে উঠে এসেছে এদেশের কথা, দেশের মানুষের কথা। এছাড়া মানুষের সুখ-দুঃখ, দারিদ্র্য-বঞ্চনা, লোকাচার, স্মৃতি প্রভৃতি তাঁর গানে এক বিশিষ্ট শিল্প সুষমায় উঠে এসেছেখুব সরল, সাবলীল তার গানের বাণীযা খুব সহজেই মানুষকে আকৃষ্ট করে। সুর তোলে মানুষের হৃদয়ে।

শুক্রবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

প্রাণের উৎসবঃ বইমেলার দিনলিপি-৩


ফেব্রুয়ারি মাস এলেই জমে উঠে বাংলা একাডেমী প্রাঙ্গন। সময়ের কাছে পৃথিবীর সবকিছু হেরে গেলেও সাহিত্য ও নিজস্ব সংস্কৃতি টিকে থাকে। দেশের সংকট-দুর্যোগের সময় অনেকের মুখ বন্ধ থাকলেও কবি-সাহিত্যিকদের কলম থেমে থাকে না। গল্পকার, ঔপন্যাসিক ও কবিরা চোখে আঙুল দিয়ে সময়ের বাস্তবতাকে দেখিয়ে দেন। পাশাপাশি সময়কে বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেন। সেই গল্পকার, ঔপন্যাসিক ও কবিদের মিলনমেলা হলো অমর একুশে গ্রন্থমেলা।

বৃহস্পতিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

পাতা ঝরার দিন


সুপ্রিয় সুকন্যা,
আমি আজ অনেকটা ইচ্ছে করেই লিখতে বসেছি। অনেকদিন ধরেই আলাভোলা হয়ে আছি। অনেকটা ঘুণে ধরার মতই! অনুভুতি গুলো নাড়া দেয়ার সামান্য চেষ্টা করছি। জানিনা কতটুকু পারছি। ইদানিং অনেক বাস্তব অভিজ্ঞতারও সম্মুখীন হচ্ছি। এতে আমি অনেকটা হতবাক হয়ে থাকছি। সে না হয় অন্য একদিন বলবো।

কালের নিয়ম অনুসারে কিছুদিন পরেই আসছে পাতা ঝরার দিন । বৈষ্ণিক উষ্ণতার কারণে প্রকৃতিতে তারতম্য দেখা যায়। সময় মত ফুল ফোটে না,

বুধবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে নির্মিত বাংলা চলচিত্রঃ গেরিলা


নাসির উদ্দিন ইউসুফ পরিচালিত মুক্তিযুদ্ধের কাহিনী নিয়ে নির্মিত বাংলা চলচিত্র গেরিলা। সৈয়দ সামসুল হকের নিষিদ্ধ লেবানন উপন্যাস এবং পরিচালকের কিছু প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা নিয়ে নির্মিত হয়েছে গেরিলা। ছবিটিতে অভিনয় করেছেনঃ
জয়া আহসান- বিলকিস বানু
ফেরদৌস- হাসান আহমেদ
পীযূষ বন্দোপাধ্যায়- আনোয়ার হোসেন
আহমেদ রুবেল- আলতাফ মাহমুদ 
শতাব্দী ওয়াদুদ-ক্যাপ্টেন শমসদ/মেজর সরফরাজ
শম্পা রেজা- মিসেস খান
এটি এম সামসুজ্জামান- তসলিম সর্দার
আজাদ আবুল কালাম- তৈয়ব
জয়শ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়, মাসুম আজিজ, কচি খন্দকার সহ আরো অনেকে।

সোমবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

প্রাণের উৎসবঃ বইমেলার দিনলিপি-২


বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলন ছিলো বাঙালির রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে সাংস্কৃতিক সংগ্রাম। ১৯৭১ সালের বাংলা একডেমী আয়োজিত অমর একুশে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তখন বাংলা একাডেমীর পরিচালক ছিলেন প্রয়াত কবীর চৌধুরী। জাতীয় চেতনার বিকাশে বাংলা একডেমীর ভুমিকা ছিলো অনেক। যা কখনো অস্বীকার করার মত নয়। এভাবে গবেষণা-প্রকাশনা কার্যক্রমের পাশাপাশি এই রকম বই মেলার আয়োজন করা অনেক কষ্ট সাধ্য ব্যাপার। এটা আমাদের জাতির সাংস্কৃতিক বোধকে শাণিত করবে। নিঃসন্ধেহে এটা আমাদের জন্য একটা গৌরবের বিষয়।

শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

প্রাণের উৎসবঃ বইমেলার দিনলিপি-১


একুশে বইমেলা বাঙালির প্রাণের মেলা। বাংলা একডেমীর প্রাঙ্গনে শুরু হয়েছে মাস ব্যাপী প্রাণের বই মেলা। এবারের বই মেলার প্রতিপাদ্য বিষয় ‘ভাষা আন্দোলনের ৬০ বছর’. আমাদের ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস মিশে আছে এই মেলায়। ১৯৭২ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি বাংলা একডেমীর বটতলায় ৩২টি বই নিয়ে যাত্রা শুরু করে মুক্তধারা। ক্ষুদ্র থেকে সেটা এখন বৃহৎ আকার ধারন করে এখন এটা প্রাণের মেলায় পরিণত হয়েছে। এটা এখন আমাদের জন্য গর্বের বিষয়!