ফেব্রুয়ারি মাস এলেই জমে উঠে বাংলা একাডেমী প্রাঙ্গন। সময়ের কাছে পৃথিবীর সবকিছু হেরে গেলেও সাহিত্য ও নিজস্ব সংস্কৃতি টিকে থাকে। দেশের সংকট-দুর্যোগের সময় অনেকের মুখ বন্ধ থাকলেও কবি-সাহিত্যিকদের কলম থেমে থাকে না। গল্পকার, ঔপন্যাসিক ও কবিরা চোখে আঙুল দিয়ে সময়ের বাস্তবতাকে দেখিয়ে দেন। পাশাপাশি সময়কে বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেন। সেই গল্পকার, ঔপন্যাসিক ও কবিদের মিলনমেলা হলো অমর একুশে গ্রন্থমেলা।
সেদিন ছিলো বই মেলার ৮ম দিন। আর আমার ছিলো ২০১২ সালের বইমেলার ৩য় দিন। প্রতিদিনের মত সেদিনও ঢাকার রাস্তায় ভীষণ পরিমাণ জ্যাম ছিলো। সব কিছুকে দূরে ঠেলে দিয়ে উপস্থিত হয়েছিলাম প্রাণের মেলায়। সেখানে আসার পূর্ব মুহূর্তে নিজের মধ্যে খুবই অস্থিরতা বিরাজ করছিলো। কখন গিয়ে হাজির হবো সে চিন্তা মাথায় ঘুর ঘুর করে। ইচ্ছে করে প্রতিদিন মেলায় যাই। অনেক অনেক বই ক্রয় করি! কিন্তু হয়ে উঠে না। সব কিছু মিলিয়ে শুরু হল ঘুরাঘুরি। সেদিন সাথে ছিলেন আমার বড় আপু আর দুজন ছোট বোন। সেদিন বইমেলা মোটামুটি ফাঁকাই ছিলো বলা চলে। তাই একটু রিলাক্সে হাটা গিয়েছিলো। তারপর অনেক বই কেনা হল। যদিও সেদিন আমার কোন বই কেনা হয়নি। আপুরা অনেক বই কিনেছে। আমি তাদের বইয়ের বহনকারী ছিলাম। যতটুকু পারছিলাম একটু একটু হেল্প করেছি। পরিশেষে বড় আপু আমাকে একটা বই দিলো। একদম নগদ! সেটা হল স্যার জাফর ইকবাল স্যারের ‘অবনীল’. এটি ২০১০ সালের বই মেলায় প্রকাশিত বই। বইটি পেয়ে ভালোই লাগছিলো। এটি ২০১২ বইমেলায় ফ্রি পাওয়া আমার দ্বিতীয় বই। যদিও আপু বলল এটি নাকি আমি আগেই পাওনা ছিলাম।
মেঘের ওপর বাড়িঃ এটি হুমায়ূন আহমেদের লিখা বই। মেলার প্রথম দিনেই বইটি ক্রয় করেছিলাম। ব্লগারদের বই গুলো পড়ার কারনে এটা শেষ করতে একটু দেরি হল। বইটি আমার কাছে অদ্ভুত লেগেছে। কেমন জানি! মৃত মানুষের কথপোকথন। তারপরেও মোটামুটি ভালোই। কিছু কিছু ডায়লগ পড়ে মজা পেয়েছি।
সব কিছু মিলিয়ে এভাবেই কেটে গেলো বই মেলার ৩য় দিন। প্রিয় জায়গায় প্রিয় মানুষদের সান্নিধ্য খুবই ভালো লেগেছে। অনেক অনেক শুভেচ্ছা সবাইকে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন