শনিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১২

নিস্তব্ধ রাতের এলোমেলো কথন-২



আজকের এই সময়ে মনটা ভীষণ পরিমাণ খারাপ হয়ে আছে। সারাটা দিন ক্লাস, কুইজ, প্রেজেন্টেসান...সব মিলিয়ে ব্যস্ততায় কেটে গিয়েছিলো কিন্তু শেষ বিকেলে এসে মনটা ভয়ানক খারাপ হয়ে গেলো, আমি ভাবতেও পারিনি এমনটি হবে। হয়তবা এমনই হওয়ার কথা ছিলো। সমস্যাটা তো আমারই! আমি কেনও এমন! আমি জানি না, আমি কেনও এমন!! আমি কখনোই চাই না আমার জন্য কেউ কষ্ট পায় বা আমার জন্য কেউ বিপদে পড়ুক বা বিব্রত হউক। কিন্তু হয়ত আমার কিছু সমস্যাই তাদেরকে বিপাকে ফেলে দেয়। এজন্য আমি তাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থী।

জীবনটাকে নিয়ে এমনি বড় বিপাকে আছি। তার উপর মাঝে মাঝে ছোট খাটো ঝড় এসে সেটাকে আরও এলোমেলো করে দিয়ে যায়। সেটা কাটিয়ে উঠতেই হয়ত আবার এসে হাজির হয়। এভাবেই চলছে ভাঙা গড়ার খেলা! জীবনটাকে মাঝে মাঝে খুব তুচ্ছ মনে হয়। আবার যখন প্রিয় মানুষদের সান্নিধ্যে হাসি আনন্দে ভরে যায়, তখন মনে হয় ঠিক তার বিপরীত। মনে হয় জীবনটা যদি এভাবে পার হয়ে যেতো। কিন্তু না...জীবন কি আর আমার কথা চলে?! আমার কথায় চললে হয়তবা আরও একটু ভালো থাকতে পারতাম। না, আর ভালো লাগছে না।

শুক্রবার, ৩০ নভেম্বর, ২০১২

বিছিন্ন ভাবনার বর্ণহীন বহিপ্রকাশ



গতককাল বিকেল থেকেই শরীর খারাপ লাগছিলো। বুঝতে পারছিলাম যে রাতে সমস্যা হতে পারে। ঠিক তাই হল! সারা রাত খুব অস্বস্তিতে ছিলাম। একদম ঘুম হয়নি। এই সমস্যাটা আমার উপর মাঝে মাঝে ঝেঁকে বসে, তাও আবার শুধু মাত্র রাতের বেলায়। তারপর যা যা হবার, তা তা যথানিয়মে হয়ে চলছিলো। আমিও বেচারা সব কিছু সহ্য করে গেলাম। মাঝে মাঝে এই রকম বিপদে পড়লে খুব ভালো করে অনুধাবন করতে পারি, মা কাছে না থাকলে কতটা অসহায় আমি এবং সেটা আমার জন্য কতটা যন্ত্রণাদায়ক। এছাড়া মাঝে মাঝে টুকটাক অসুস্থ হলে বুঝতে পারি, মানুষের মৃত্যু যন্ত্রণা কতটা কঠিন। তখন মনে হয়, বেঁচে থাকাটা সত্যিই অনেক সহজ কিন্তু শেষ হয়ে যাওয়া অনেক কষ্টের! তারপরও মনে হয় শেষ হয়ে গেলে হয়ত এই যাত্রায় বেঁচে যেতে পারতাম!!

শনিবার, ৩ নভেম্বর, ২০১২

বন্ধু




বন্ধু মানে নয় ''I am sorry''

বন্ধু মানে ''সব দোষ তোর''
বন্ধু মানে নয় ''I miss you''
বন্ধু মানে ''মরছিলি নাকি ?''
বন্ধু মানে নয় ''I understands''
বন্ধু মানে ''সবসময় আমাকে কেন বুঝতে হয় ?''
বন্ধু মানে নয় ''I'm happy for ur success''
বন্ধু মানে ''থ্রেট দিবি কবে ?''

বুধবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১২

Old Dhaka- Through my eyes



Few days ago, I went to old Dhaka with Anindya. Anindya is one of my younger brother and one of my best friend. It was noon, when the sun was exactly over our head. It was really hot, we were burning up at the time. But we are Enjoying the time. Actually, we went to eat ''Haji Biriyani''. when we reached infront of that resturant, the resturant was close. so, we don't understnad what we are doing that moment...! Then we decided, we are going to ''Ahsan Monjil''.

শুক্রবার, ১২ অক্টোবর, ২০১২

ভালোবাসা



ভালোবাসার মাঝে কখনো সুখ, কখনো দুঃখ
ভালবাসা কখনো হাসায়, কখনো দুঃখ দেয়।
ভালবাসার মানুষ যখন অবজ্ঞা করে তখন কেমন কষ্ট হয় বুঝি,
ভালবাসার মানুষকে ভুলেথাকার ভান করা যায়, ভুলা যায় না
                                  
ভালোবাসার সংজ্ঞা বিতর্ক,অনুমান এবং অন্তর্দর্শনের উপর প্রতিষ্ঠিত। অনেকেই ভালোবাসার মত একটি সর্বজনীন ধারণাকে আবেগপ্রবন ভালোবাসা, কল্পনাপ্রবন ভালোবাসা কিংবা প্রতিশ্রুতিপূর্ণ ভালোবাসা এসব ভাগে ভাগ করার পক্ষপাতী নন। তবে এসব ভালোবাসাকে শারীরিক আকর্ষনের উপর ভিত্তি করে শ্রেণীবিন্যাস করা যেতে পারে। সাধারণ মতে, ভালোবাসাকে একটি ব্যক্তিগত অনুভূতি হিসেবে বিবেচনা করা হয় যেটা একজন মানুষ অপর আরেকজন মানুষের জন্য অনুভব করে। কারোপ্রতি অতিরিক্ত যত্নশীলতা কিংবা প্রতিক্ষেত্রে কারো উপস্থিতি অনুভব করা ভালোবাসার সাথেই সম্পর্কযুক্ত। অধিকাংশ কথ্য ধারণায়,ভালোবাসা নিঃস্বার্থতা, স্বার্থপরতা, বন্ধুত্ব, মিলন, পরিবার এবং বন্ধনের সাথে গভীরভাবে যুক্ত।

বুধবার, ২৯ আগস্ট, ২০১২

The Endless wait বা অন্তহীন


অন্তহীন, অদ্ভুত সুন্দর একটা মুভি যতবারই মুভিটা দেখেছি ততবারই ভালো লেগেছে। মানুষের সম্পর্ক যে এমন অদ্ভুত হতে পারে সত্যিই আমার জানা ছিলো না সত্যিই মানুষের সম্পর্ক গুলো এমনই! আমাদের শহর জীবন আর সম্পর্কের নানা জটিল বিষয় উঠে এসেছে এই ছবিতে দেখানো হয়েছে আমাদের জীবনে সম্পর্কের জটিলতাকে আর আমাদের একা থাকতে চাওয়ার প্রবনতাকে এই অন্তহীন বা The Endless Wait আসলে কিসের জন্য ? হয়ত সঠিক মানুষের জন্য (For The Right Person)! আমরা একা থাকতে চাই চলে যেতে চাই দূরে একে অপর থেকে কিন্তু আসলেই কি আমরা পারি একা থাকতে? পারলেও বা কতটা? অনেক অনেক সময় এই দূরে সরে থাকতে চাওয়াটাই আমাদেরকে আরও তার কাছাকাছি নিয়ে আসে তাই সম্পর্কে মাঝে দূরত্বটাও জরুরি এটা একজন মানুষকে অপরের প্রয়োজনীয়তা বুঝতে সাহায্য করে আসলে এই পৃথিবীতে আসলেই কেউ একা নয় কিছু কিছু মানুষ নিজেকে একা ভাবতে ভালোবাসে মাত্র

বুধবার, ২৫ জুলাই, ২০১২

ও কারিগর, দয়ার সাগর, ওগো দয়াময় চান্নি পসর রাইতে যেন আমার মরণ হয়......



নন্দিত কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ আমাদের মাঝে আর নেই। বিষয়টা চিন্তা করতেই কেমন জানি লাগে! যে কোন মৃত্যু সংবাদ আমি সহজভাবে নিতে পারি না। যখনই নিজেকে ঐ মৃত মানুষটার জায়গায় চিন্তা করি তাহলে খুব অসহায় লাগে!! সব মানুষ মারা গেলেই একটা নিউজ হয়। কারো জন্য আহাজারি কম হয়, কারো জন্য বেশী- তফাৎ এটাই!

সোমবার, ১৮ জুন, ২০১২

হাদীসের নির্বাচিত দোয়াসমূহ

              


(১) হে আল্লাহদৃষ্টির অন্তরালবর্তী ও দৃষ্টিগ্রাহ্য সকল বিষয়ে যেন তোমাকে ভয় করতে পারি হে আল্লাহযদি জীবন আমার জন্য কল্যাণকর হয়তাহলে আমাকে জীবিত রাখআর যদি মৃত্যু আমার জন্য কল্যাণকর হয় তাহলে আমাকে মৃত্যু দান কর। সেই তাওফিক প্রার্থনা করি। আমি তোমার নিকট প্রার্থনা করি সত্য কথা বলার তাওফিকখুশি ও ক্রোধ উভয় অবস্থাতেই। আমি তোমার নিকট প্রার্থনা করি মিতব্যয়িতারসচ্ছল-অসচ্ছল উভয়াবস্থায়। প্রার্থনা করি এমন নেয়ামত যা শেষ হবার নয়। প্রার্থনা করি যা চক্ষু জুড়াবে অনিঃশেষভাবে। আমি তোমার নিকট চাই তকদিরের প্রতি সন্তুষ্টি। আমি তোমার নিকট চাই মৃত্যুর পর সুখময় জীবন। আমি তোমার নিকট কামনা করি তোমাকে দেখার তৃপ্তি,আমি কামনা করি তোমার সহিত সাক্ষাৎ লাভের আগ্রহ-ব্যাকুলতা যা লাভ করলে আমাকে স্পর্শ করবে না কোন অনিষ্ট,আর আমাকে সম্মুখীন হতে হবে না এমন কোন ফেৎনার যা আমাকে পথভ্রষ্ট করতে পারে। হে আল্লাহতুমি আমাদেরকে ঈমানের অলংকার দ্বারা বিভূষিত কর আর আমাদেরকে বানাও পথ প্রদর্শক ও হেদায়েতের পথিক। --নাসায়ি : ৫৪/৩

(২) হে আল্লাহতুমি আমার প্রভু তুমি ছাড়া কোন ইলাহ নেই। তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছ আর আমি হচ্ছি তোমার বান্দা এবং আমি আমার সাধ্য-মত তোমার প্রতিশ্রুতিতে অঙ্গীকারাবদ্ধ রয়েছি। আমি আমার কৃতকর্মের অনিষ্ট হতে তোমার আশ্রয় ভিক্ষা করি। আমার প্রতি তোমার নিয়ামতের স্বীকৃতি প্রদান করছিআর আমি আমার গুনাহ-খাতা স্বীকৃতি করছি। অতএব তুমি আমাকে মাফ করে দাও নিশ্চয়ই তুমি ভিন্ন আর কেউ গুনাহ মার্জনাকারী নেই।--বোখারি : ৫৮৩১ 

(৩) হে আল্লাহআমি তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি পদস্খলন অথবা পদস্খলিত হওয়া থেকে। পথ হারিয়ে ফেলা অথবা অন্য কর্তৃক পথভ্রষ্ট হওয়া থেকে। কারও উপর জুলুম করা থেকে অথবা কারো নির্যাতিত হওয়া থেকে। কারও সাথে মূর্খতা-পূর্ণ আচরণ করা থেকে অথবা অন্যের মূর্খতা-জনিত আচরণে আক্রান্ত হওয়া থেকে।--নাসায়ি : ৫৩৯১

(৪) হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট উপকারী বিদ্যাগ্রহণযোগ্য আমল এবং পবিত্র জীবিকা প্রার্থনা করি।--ইবনে মাজা : ৯১৫ 

শুক্রবার, ১৫ জুন, ২০১২

আষাঢ় বন্দনা



বৃষ্টি হোক বা না হোক আজ আষাঢ়ের প্রথম দিন। ষড়ঋতুর পর্যায়ক্রমে বাংলার প্রকৃতিতে দ্বিতীয় ঋতু হিসেবে বর্ষার আগমন ঘটেছে। প্রচণ্ড গরম দিয়ে গ্রীষ্মের বিদায় হলেও আজ বর্ষার প্রথম দিনের ভোর থেকেই রাজধানীতে সূর্য উঠেনি। সূর্যও যেন বর্ষাকে বরণ করে নিয়েছে। কালো মেঘে ঢাকা সমস্ত আকাশ। এমন মুখর পদধ্বনি, এমন গম্ভীর প্রকাশবার্তা আর কোনো ঋতুর নেই। তাই বসন্তকে যদি ঋতুরাজ বলা যায়, বর্ষা হল ঋতুরানী।

সোমবার, ৩০ এপ্রিল, ২০১২

বিচ্ছিন্ন যাতনার বহিঃপ্রকাশ


আমি কষ্ট একদম সহ্য করতে পারি না। আমার যেটা ভালো লাগে না, আমি যেটা চাই না সেটাই আগে হয়। কারো চোখের পানি দেখলেই আমারও চোখে পানি চলে আসে। কারণে অকারণে নিজেই কেঁদে ফেলি। কষ্ট গুলো কেনও এমন!! কষ্ট গুলো কেনও কষ্ট দেয়। ইদানিং মনে হচ্ছে, আমি কষ্টের বেড়াজালে আটকা পড়েছি। মনে হয় আমার সব কিছু ঘিরেই কষ্ট! যেনও কষ্টকে ঘিরেই আমি। আবার মনে হয়, আমার সব কিছু ঘিরেই কষ্টরা! কোন কিছুতেই মন বসাতে পারছি না। কোন কারণ ছাড়াই কিছু ভালো লাগে না। লাইফের বর্তমান পরিস্থিতির দিকে তাকালে সত্যি নিজের প্রতি নিজের করুণা হয়। এভাবে সময়গুলো কাটাতে হবে কখনো চিন্তাই করিনি। আগের কথাগুলো মনে হলে আরও বেশী কষ্ট লাগে। নিজেই নিজের কাছে সান্ত্বনা খুঁজে বেড়াই। কিন্তু সে সান্ত্বনা চোখের জল ফেলেই শেষ হয়।

রবিবার, ২৯ এপ্রিল, ২০১২

Love quotes



“Love built on beauty, soon as beauty, dies.”
John Donne  

“Love is composed of a single soul inhabiting two bodies.”
Aristotle 

“There is no remedy for love but to love more.”
Henry David Thoreau 

“Don’t forget to love yourself.”
Soren Kierkegaard 

বৃহস্পতিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০১২

আমার দিন আমার রাত



দিন যায় দিন আসে। কিভাবে কেটে যায় এক একটি দিন, বুঝতে পারি না! কিভাবে বুঝবো, আমি তো আর সবার মত নয়। আমি সবার থেকে একটু হলে আলাদা। সত্যি আমি কেমন যেনও হয়ে গেছি। সব কিছুই কেমন জানি মনে হয়। কোন কারণ ছাড়াই কোন কিছু ভালো লাগে না। আমি বুঝতে পারি না কিছুই! তাই অনেকে আমাকে পাগল বলে, গাধা বলে। আমি এগুলোতে কোন আপত্তি করিনা। কারণ, কারো কাছে যদি মনে হয় আমি তেমন তাহলে এখানে আমার কি করার আছে। তাই আমিও তাতে সায় দেই। সে কথা আজকে আর বলছি না, ভালো লাগছে না সে কথা বলতে। অন্য কোন দিন সুন্দর করে বর্বণা দিবো আমি কেমন!

এই তো সন্ধ্যায় পড়া শুরু করেছিলাম জাফর স্যারের রাতুলের দিন রাতুলের রাত বইটা।   বইটার নাম অনুকরণ করেই আমি শিরোনাম দিলাম। সেটা হয়ত আগের লাইনটা পড়েই বুঝা যাচ্ছে। তারপরেও বলে দিলাম! কিছুক্ষণ আগেই শেষ করলাম বইটা। অসাধারণ লাগলো বইটা।

শনিবার, ১৪ এপ্রিল, ২০১২

নব আনন্দে জাগো



শুভ নববর্ষ। আজ পহেলা বৈশাখ, বাংলা দিনপঞ্জিকায় ১৪১ সালের প্রথম মাসের প্রথম দিন। ঋতুরাজ বসন্তের রেশ কাটতে না কাটতে-ই সকলের অপেক্ষা নতুন বছরকে ঘিরে। বসন্ত কালের শেষ সূর্যাস্তের সাঙ্গেই অতীতের ভুল ত্রুটি আর ব্যর্থতারগ্লানি নিয়ে মহাকালের স্রোতে বিলীন হয়ে গেছে ১৪১সাল। সূর্যোদয়ের সহিত নবজীবনের উজ্জল বার্তা নিয়ে জাতীয় জীবনে ফিরে এসেছে আবহমান বাংলার প্রিয় উৎসব, বাংলা নববর্ষ। ঋতুর বিচিত্র রূপে রূপবতী আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি এ বাংলাদেশ। ষড়ঋতুর চাকা ঘুরতে ঘুরতে আবার এসেছে বৈশাখ! বাঙ্গালী ঐতিহ্যের প্রাণের উৎসব বাংলা নববর্ষ। বৈশাখের প্রথম দিনটিকে বরণ করে নিতে প্রকৃতি যেন সাজে অপরূপ রূপে। সকলের-ই প্রাণে বেজে ওঠে এসো হে বৈশাখ, এসো এসো...। সকল পেশার প্রতিটি মানুষের মনে জেগে ওঠে বাংলার হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যের পরশ। ১৪১ সালের পহেলা বৈশাখের এই মহেন্দ্র ক্ষণে সকলের প্রতি রইলো নববর্ষের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। শুভ নববর্ষ।

শুক্রবার, ৬ এপ্রিল, ২০১২

বৃষ্টিভেজা একটি দিন



আজ ঘুম থেকে উঠেই দেখি চারদিকে অন্ধকার। অনেক দিন দুঃসহ গরমের পর একটু স্বস্তির বৃষ্টি হল। নগরীতে ও প্রকৃতিতে জেগেছে প্রাণের সঞ্চার। বৃষ্টিভেজা দিন বরাবরের মতমনকে ভিজিয়ে আমায় উদাস করে দিয়ে যায়! তবে আজকে লিখতে বসার একমাত্র কারণ হলো কিঞ্চিৎ মন খারাপের। সারা দিন টুকটাক কাজে ব্যস্ত থাকার পর সন্ধ্যায় বাসায় ফিরলাম। নেটে বসেই একজনের সাথে চ্যাট করছিলাম। অনেক কথাই হল। ভালোই লাগছিলো। কিন্তু হঠাৎ কেনও জানি খারাপ লেগে উঠলো। মনটা খুব খারাপ হয়ে গেলো। তারপর আর কোন কিছুই ভালো লাগছিলো না!!

ইদানিং নিজেই নিজের মাঝে হারিয়ে যেতে বসেছি। কিছু কিছু জিনিস থেকে মুক্তি পেতে চাইছি। কিন্তু যত মুক্ত হতে চাই, ততই জড়িয়ে পড়ছি। কেন যে এমন হয়!! ইদানিং আরেকটা সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করছে। অল্পতেই সব ভুলে যাই।

সোমবার, ২৬ মার্চ, ২০১২

স্বাধীনতা, আমার স্বাধীনতা!



স্বাধীনতা মানে বুকের ভেতর ঘুমিয়ে থাকা স্বপ্নগুলোর ডানা মেলে উড়া। প্রত্যেক মানুষের আছে নানারঙের স্বপ্ন। সবাই চায়, এই স্বপ্নগুলো পূরণ হোক। স্বাধীনতা আমাদের স্বপ্ন দেখাতে শেখায়, আর এই বর্ণিল স্বপ্নগুলো বাস্তব করার সাহস যোগায়। অবশ্য এখানে স্বপ্নের অর্থ বলতে আমি জীবনের আকাঙ্ক্ষাকে বোঝাচ্ছি। পরাধীনতার শেকল শুধু মানুষের দেহটাকেই আটকে রাখে না প্রকৃতপক্ষে তার স্বপ্নগুলোকে বন্দি করে ফেলে। তাই স্বাধীনতা আমার কাছে অবারিত স্বপ্নের খোলা জানালা। 


খুব কম দেশই আছে যারা যুদ্ধ করে স্বাধীনতা লাভ করেছে। বাংলাদেশ তাদের মধ্যে অন্যতম। আমরা যদি বিশ্বের ইতিহাস ঘাটি তাহলে দেখবো বেশির ভাগ দেশ তাদের ঔপনিবেশিক প্রভুদের কাছে দেন-দরবার করে স্বাধীনতা পেয়েছে। আমাদের ভারতবর্ষেও অবস্থাটা মোটামুটি এই রকমই। প্রায় দু'শ বছর ব্রিটিশদের অধীনে থাকার পরে ভারতবর্ষ স্বাধীনতা লাভ করে। ভারত ও পাকিস্তান নামক দু'টি রাষ্ট্রের জন্ম হয়।

সোমবার, ১৯ মার্চ, ২০১২

বড় একলা একলা লাগে তোরে ছাড়া

একলা লাগে একলা লাগে একলা লাগে
বড় একলা একলা লাগে তোরে ছাড়া
যায় দিন যায় রাত
থাকি দিশেহারা, তোরে ছাড়া
বড় একলা একলা লাগে তোরে ছাড়া
একলা জীবন একলা ক্ষণে
একলা দিগন্তজুড়ে
একলা প্রান্তরে
একলা একলা মন মানে না
একলা মন সেতো ছন্নছাড়া
যায় দিন, যায় রাত থাকি দিশেহারা 

সত্যিই নিজেকে আজ খুব একলা মনে হচ্ছে। একলা আমি নিজের ছায়ার মতো শূণ্যতার মতো দীর্ঘশ্বাসের মতো নিঃসঙ্গ বৃক্ষের মতো নির্জন নদীর মতো বিষন্ন দ্বীপের মতো মৌন পাহাড়ের মতো বড় একা আমি...! দুঃসহ অন্ধকারকে আজ খুব কাছের মনে হয়। আমি ক্লান্ত পথিক...!

শনিবার, ১৭ মার্চ, ২০১২

আহ বৃষ্টি…...!



শ্রাবণ মাস আসতে এখনো অনেক বাকি। কিন্তু তার আগেই বৃষ্টি!! ইট পাথরের এই নগরীতে একটু প্রাণের সঞ্চার হল, সস্থি হল। সন্ধ্যার আঁধার ঘনিয়ে আসার আগেই শুরু হল আকাশের গর্জন। মুহূর্তের মধ্যেই পুরো সন্ধ্যার চেহারাটাকে বদলে দিলো ধরণীতে নেমেছে অঝোর ধারায় বর্ষণ। সে কী আশ্চর্য বৃষ্টি! কি সুন্দর ঠান্ডা বাতাস প্রাণ জুরিয়ে দিচ্ছেখুব-ই ভাল লাগছে আবার কেমন জানি আনমনা লাগছেএমন সন্ধ্যায় ইচ্ছে হয় উদাসী হয়ে হারিয়ে যেতে দূরে কোথাও!

বৃহস্পতিবার, ১৫ মার্চ, ২০১২

বাঘ আইলো রে......!


অভিনন্দন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে! বাঘের গর্জন আবার শুনতে পেলো দেশবাসী। অনেক দিনপর বাঘের গর্জন শুনে খুশিতে নাচতে ইচ্ছে করছে।
এইতো সেদিন বলেছিলাম, হতাশার আরেক নাম বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম। মাঝে মাঝে এই দলটা জ্বলে ওঠে তবে বেশীর ভাগ সময়-ই নিভে থাকে। বিশ্ব ক্রিকেটে জন্ম দেয় নানা অঘটনের। কিন্তু আজকে কোন অঘটন ঘটেনি। এটা ইতিহাসের স্মরণীয় একটা ম্যাচ হয়ে থাকবে। অনেক উৎকণ্ঠারপর শচীন সেঞ্চুরি পেলো। যদিও এটা ইতিহাসে আলাদা ভাবে লিখা থাকবে। অবিশ্বরনীয় এক জয় পেল বাংলাদেশ !! শচীনের সেঞ্চুরির আনন্দ আর ম্যাচ শেষে থাকেনি। টাইগাররা সেটাকে স্লান করে দিয়েছে। খুব সুন্দর নৈপুণ্য খেলা দেখিয়েছে টাইগাররা। তামিম, জহিরুল, নাসির, সাকিব, মুশফিক তাদের জন্য রইলো স্পেশাল শুভেচ্ছা। 
গড'স টিমেরো তাইলে থার্ড আম্পায়ারের ফেভার লাগে! লুলে লুলায়িত হইলাম ! সাকিবের নটআউট টা যে থার্ড আম্পায়ার কেন আউট দিলো সেটা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে না? আম্পায়ারের জন্য রইলো অন্তর থেকে ঘৃণা। 

বুধবার, ১৪ মার্চ, ২০১২

আমার বন্ধু রাশেদ


পৃথিবীর নানা দেশে যুদ্ধ নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ হয়েছে, হচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতায় আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বহু চলচ্চিত্র নির্মাণ হয়েছে। যার সংখ্যা একেবারেই কম নয়। এসব ছবির সবই মানসম্পন্ন হয়েছে সেটা বলা যাবে না। এ ধরনের ছবিগুলো বাণিজ্যিক চিন্তা থেকে নয় বরং নির্মিত হয় ইতিহাস ও জাতির প্রতি সকলের দায়বদ্ধতার কারণে। তেমনি একটি অলোচিত মুক্তিযুদ্ধভিক্তিক শিশুতোষ চলচ্চিত্র আমার বন্ধু রাশেদ। মুহাম্মদ জাফর ইকবাল স্যারের কিশোর উপন্যাস অবলম্বনে মুক্তিযুদ্ধের এই শিশুতোষ চলচ্চিত্র নির্মিত হয়। সরকারি অনুদানের এ ছবিটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লিমিটেড ও মনন চলচ্চিত্র। চিত্রনাট্য করেছেন মোরশেদুল ইসলাম ও বরকত উল্যাহ মারুফ। ছবিটি পরিচালনা করেছেন মোরশেদুল ইসলাম। ছবিটিতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেনঃ চৌধুরী জাওয়াতা আফনান রাশেদ, রাইসুল ইসলাম আসাদ-বড় ইবু, হোমায়রা হিমু -অরু আপা, পারভেজ মুরাদ -শফিক ভাই, পীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায় -ইবুর বাবা, ইনামুল হক - স্কুল শিক্ষক, কেরামত মওলা, ওয়াহিদা মল্লিক জলি -ইবুর মা, ইবতেশাম চৌধুরী, রিফায়েত জিন্নাত, ফাইয়াজ বিন জিয়া, লিখন রাহি, কাওসার আবেদীন, কাজী রায়হান সোকাহান সহ আরও অনেকে।

সোমবার, ১২ মার্চ, ২০১২

বসন্ত বাতাসে সই গো......!



এখনো ফাল্গুন মাস,বসন্তকাল। তাও প্রায় শেষের দিকে! নিয়ম অনুযায়ী গাছে নতুন পাতা গজানো এবং ফুলে ফুলে ভরে উঠার কথা চারপাশ। কিন্তু এখনো পাতা ঝরছে। বৈষ্ণিক উষ্ণতায় কালের নিয়মে তারতম্য দেখা যায়। সময় মত ফুল ফোটে না, সময় মত পাতা ঝরে না, সময় মত বৃষ্টি পড়ে না। সবকিছুতেই কেমন অনিয়মের ছোঁয়া। তারপরেও, নবযৌবনের প্রতীক এই বসন্ত। বসন্ত মানেই সুন্দর, বসন্ত মানেই নতুনের জয়গান।

গাছে গাছে কচি কিশলয় জেগে ওঠার আভাসে, পত্র-পল্লবের মর্মর আর পাতার আড়ালে কোকিলের কুহুতান জানান দিচ্ছে,‘আজি বসন্ত জাগ্রত দ্বারে...

শনিবার, ১০ মার্চ, ২০১২

পারলো না বাংলাদেশ!

বাংলাদেশ ক্রিকেট দল! বলতে গেলে, হতাশার আরেক নাম। মাঝে মাঝে এই দলটা জ্বলে ওঠে তবে বেশীর ভাগ সময়-ই নিভে থাকে। বিশ্ব ক্রিকেটে জন্ম দেয় নানা অঘটনের। কিন্তু আজকে কোন ঘটনাই ঘটাতে পারলো না। অল্পের জন্য মিস করলো। আরেকটু ভালো খেললে ম্যাচটা জিতে যেতো। সাকিব, তামিম আর নাসিরের রানের সুবাদের এতটুকু এগিয়ে গিয়েছিলো। খুব আশা করেছিলাম আজকের ম্যাচটি জিতবে বাংলাদেশ। অনেক আশা করেছিলাম বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন জানাবো। কিন্তু হয়েও হল না। সেই হতাশা নিয়েই পরাজয়ের পোস্ট লিখতে হল। 

বৃহস্পতিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

প্রাণের উৎসবঃ বই মেলার দিনলিপি-৭


একুশ পার হলেও বইমেলায় বাঙ্গালির জোয়ার এখনো শেষ হয়নি। কারণ, একুশের চেতনা বাঙ্গালির অন্তরে সব সময় বিরাজমান। এ যেনো বাঙ্গালির অস্তিত্বে মিশে গেছে। শেষ মুহূর্তে এসেও বই মেলা জমে উঠছে আরও ভালোভাবে। ধাক্কা ঠেলা দিয়ে স্টলের সামনে জায়গা করে নিচ্ছেন এবং নিজেদের পছন্দমত বই কিনছেন বই প্রেমীরা। তবে, বই মেলায় ক্রেতার চেয়ে দর্শনার্থীর সংখ্যাটাই একটু বেশী।

বুধবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

প্রাণের উৎসবঃ বই মেলার দিনলিপি-৬


চলছে জমজমাট একুশে বই মেলা। বছর ঘুরে ফেব্রুয়ারি মাস এলেই বেজে উঠে একুশের সুর। এ মেলায় প্রতিদিনই ভিড় করছে বইপ্রেমী নানা বয়সের মানুষবসন্তের বিকেলে প্রতিদিন ক্লান্তি অবসাদ সবকিছুকে ছাপিয়ে বইমেলায় ভিড় জমায় নানা বয়সের মানুষভিড়-ভাট্টা, হট্টগোল কোনো কিছুই বাধা হতে পারেনা নতুন বইয়ের গন্ধ নেওয়ার আকুলতার কাছে মেলাসংলগ্ন রাস্তায় নানা রকমের বাদ্যযন্ত্র ও গাড়ির বিতিকিচ্ছিরি শব্দ, ফেরিওয়ালাদের হাঁকডাক। কিন্তু সবকিছুকে ছাপিয়ে গেল বইপ্রেমী মানুষের পদচারণ আর প্রাণের কোলাহল। ছেলে বুড়ো সবার পদচারণ মুখরিত হয় মেলার প্রাঙ্গন।

মঙ্গলবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

প্রাণের উৎসবঃ বই মেলার দিনলিপি-৫



চলছে বসন্ত। ফাগুন লেগেছে বনে বনে, শাখায় শাখায়, পাতায় পাতায়। তার রেশ ছড়িয়ে পড়েছে যান্ত্রিক এই শহরের বাসিন্দাদের মনেও। ফাগুনে প্রকৃতির যেমন হলুদের ছোঁয়া ক্রমশই বৃদ্ধি পায় তার সাথে তাল মিলিয়ে নাগরিক জীবনেরও যেন রং বদলায়। হলুদ আর লালে রঙিন হয়ে জানিয়ে দেয় ভালবাসার কথা। বাঙালিরা মেতে ওঠে উৎসবে! ভিন্ন এক ব্যঞ্জনায় রাঙিয়ে তোলে বাঙালির প্রাণের মেলাকে 'নবীন ফাগুন দিন, সকল বন্ধনহীন...' রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

অমর একুশে ফেব্রুয়ারি


বছর ঘুরে বাঙালির দুয়ারে 'অমর একুশে' কড়া নাড়লেই প্রাণে প্রাণে ধ্বনি-প্রতিধ্বনি হয় এ অমোঘ বাণী। আজ সেই অমর একুশে ফেব্রুয়ারি, অমর শহীদ দিবস। অমর একুশে শাশ্বত বাঙালির হৃদয়ে, মননে ও জীবনাচরণের এক ঐক্যসূত্র। স্মৃতির প্রাত্যহিকতায় একুশ অনন্য উজ্জ্বল একটি দিন। পলাশ,  শিমুল, রক্তরাগে প্রকৃতিকে রাঙিয়ে আসে বসন্ত। বসন্তের সম্মিলনে আমাদের চেতনায় আল্পনা এঁকে দেয় অমর একুশ। স্বজন হারানোর বেদনা আর অধিকার আদায়ের আনন্দে উদ্বেল একুশে ফেব্রুয়ারি তাই তো জাতির জীবনে অবিনশ্বর এক মহাউদযাপনে পরিণত হয়েছে বছরের পর বছর। এমন কালজয়ী দিন, ধর্ম-বর্ণ-গোত্র-দল-মত নির্বিশেষে উদযাপন করার জন্য সত্যিই দ্বিতীয়টি নেই।

শুক্রবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

প্রাণের উৎসবঃ বই মেলার দিনলিপি-৪


ভাষার মাস ফেব্রুয়ারিবাংলা একাডেমীতে বসেছে প্রাণের মেলামেলায় প্রতিদিন আসছে রং বেরঙের মলাটে মোড়ানো চকচকে নতুন বইপাঠকেরা ছুটছে প্রিয় লেখকদের বই কেনার জন্য এক স্টল থেকে অন্য স্টলেমেলায় প্রতিদিন নানান পেশার মানুষের ভিড় জমেলেখক পাঠকদের পদচারনায় মুখরিত হয় মেলার প্রাঙ্গন চারদিকে উৎসব মুখর একটা পরিবেশ।

বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

বন্দে মায়া লাগাইছেঃ শাহ আব্দুল করিম

তেরশো বাইশ বাংলায় জন্ম আমার
মা বলেছেন ফাল্গুন মাসের প্রথম মঙ্গলবার
১৯১৬ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারী, বাংলা ১৩২২সন, ফাল্গুন মাসের প্রথম মঙ্গলবার, বর্তমান সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার ধল আশ্রম নামক গ্রামে জন্মগ্রহন করে বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিম। জীবনের নানা ঘাত প্রতি ঘাত কাটিয়ে নিজেকে তুলে এনেছেন খ্যাতির চুড়ায়। দারিদ্র্যতার কারনে তিনি পড়াশুনা করতে পারেন নি। মাত্র আট দিন তিনি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা লাভের সুযোগ পেয়েছিলেন। বলতে গেলে তিনি জন্ম থেকে যুদ্ধ করছেন দারিদ্র্যতার সঙ্গে। রাখাল থেকেই কালপরিক্রমায় তিনি বাউল সম্রাটে রূপান্তরিত হন। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি নিজেকে বাউল শিল্পী হিসেবে পূর্ণরূপ দিতে শুরু করেছিলেন। তার গানে উঠে এসেছে এদেশের কথা, দেশের মানুষের কথা। এছাড়া মানুষের সুখ-দুঃখ, দারিদ্র্য-বঞ্চনা, লোকাচার, স্মৃতি প্রভৃতি তাঁর গানে এক বিশিষ্ট শিল্প সুষমায় উঠে এসেছেখুব সরল, সাবলীল তার গানের বাণীযা খুব সহজেই মানুষকে আকৃষ্ট করে। সুর তোলে মানুষের হৃদয়ে।

শুক্রবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

প্রাণের উৎসবঃ বইমেলার দিনলিপি-৩


ফেব্রুয়ারি মাস এলেই জমে উঠে বাংলা একাডেমী প্রাঙ্গন। সময়ের কাছে পৃথিবীর সবকিছু হেরে গেলেও সাহিত্য ও নিজস্ব সংস্কৃতি টিকে থাকে। দেশের সংকট-দুর্যোগের সময় অনেকের মুখ বন্ধ থাকলেও কবি-সাহিত্যিকদের কলম থেমে থাকে না। গল্পকার, ঔপন্যাসিক ও কবিরা চোখে আঙুল দিয়ে সময়ের বাস্তবতাকে দেখিয়ে দেন। পাশাপাশি সময়কে বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেন। সেই গল্পকার, ঔপন্যাসিক ও কবিদের মিলনমেলা হলো অমর একুশে গ্রন্থমেলা।

বৃহস্পতিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

পাতা ঝরার দিন


সুপ্রিয় সুকন্যা,
আমি আজ অনেকটা ইচ্ছে করেই লিখতে বসেছি। অনেকদিন ধরেই আলাভোলা হয়ে আছি। অনেকটা ঘুণে ধরার মতই! অনুভুতি গুলো নাড়া দেয়ার সামান্য চেষ্টা করছি। জানিনা কতটুকু পারছি। ইদানিং অনেক বাস্তব অভিজ্ঞতারও সম্মুখীন হচ্ছি। এতে আমি অনেকটা হতবাক হয়ে থাকছি। সে না হয় অন্য একদিন বলবো।

কালের নিয়ম অনুসারে কিছুদিন পরেই আসছে পাতা ঝরার দিন । বৈষ্ণিক উষ্ণতার কারণে প্রকৃতিতে তারতম্য দেখা যায়। সময় মত ফুল ফোটে না,

বুধবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে নির্মিত বাংলা চলচিত্রঃ গেরিলা


নাসির উদ্দিন ইউসুফ পরিচালিত মুক্তিযুদ্ধের কাহিনী নিয়ে নির্মিত বাংলা চলচিত্র গেরিলা। সৈয়দ সামসুল হকের নিষিদ্ধ লেবানন উপন্যাস এবং পরিচালকের কিছু প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা নিয়ে নির্মিত হয়েছে গেরিলা। ছবিটিতে অভিনয় করেছেনঃ
জয়া আহসান- বিলকিস বানু
ফেরদৌস- হাসান আহমেদ
পীযূষ বন্দোপাধ্যায়- আনোয়ার হোসেন
আহমেদ রুবেল- আলতাফ মাহমুদ 
শতাব্দী ওয়াদুদ-ক্যাপ্টেন শমসদ/মেজর সরফরাজ
শম্পা রেজা- মিসেস খান
এটি এম সামসুজ্জামান- তসলিম সর্দার
আজাদ আবুল কালাম- তৈয়ব
জয়শ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়, মাসুম আজিজ, কচি খন্দকার সহ আরো অনেকে।

সোমবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

প্রাণের উৎসবঃ বইমেলার দিনলিপি-২


বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলন ছিলো বাঙালির রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে সাংস্কৃতিক সংগ্রাম। ১৯৭১ সালের বাংলা একডেমী আয়োজিত অমর একুশে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তখন বাংলা একাডেমীর পরিচালক ছিলেন প্রয়াত কবীর চৌধুরী। জাতীয় চেতনার বিকাশে বাংলা একডেমীর ভুমিকা ছিলো অনেক। যা কখনো অস্বীকার করার মত নয়। এভাবে গবেষণা-প্রকাশনা কার্যক্রমের পাশাপাশি এই রকম বই মেলার আয়োজন করা অনেক কষ্ট সাধ্য ব্যাপার। এটা আমাদের জাতির সাংস্কৃতিক বোধকে শাণিত করবে। নিঃসন্ধেহে এটা আমাদের জন্য একটা গৌরবের বিষয়।

শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

প্রাণের উৎসবঃ বইমেলার দিনলিপি-১


একুশে বইমেলা বাঙালির প্রাণের মেলা। বাংলা একডেমীর প্রাঙ্গনে শুরু হয়েছে মাস ব্যাপী প্রাণের বই মেলা। এবারের বই মেলার প্রতিপাদ্য বিষয় ‘ভাষা আন্দোলনের ৬০ বছর’. আমাদের ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস মিশে আছে এই মেলায়। ১৯৭২ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি বাংলা একডেমীর বটতলায় ৩২টি বই নিয়ে যাত্রা শুরু করে মুক্তধারা। ক্ষুদ্র থেকে সেটা এখন বৃহৎ আকার ধারন করে এখন এটা প্রাণের মেলায় পরিণত হয়েছে। এটা এখন আমাদের জন্য গর্বের বিষয়!

সোমবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০১২

বিষণ্ণ আবেগ....!


অনেকদিন ধরেই বুঝতে পারছিলাম আমার উপর দিয়ে ছোটখাটো একটা ঝড় হবে। তাই এটা-সেটা নিয়ে নিজেকে ব্যস্ত রাখার অনেক চেষ্টা করেছিকিন্তু হলো না… ! যা হবার নয় তাই হল! আমার যেমনটা হতে চলছে তেমনটা আমি মোটেও চাইনা, চাইনি কখনও। নিজের উপর নিজের কন্ট্রোল হারিয়ে ফেলছি দিন দিন! এই জীবন আমি চাইনা...! 

বুধবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০১২

সাধের পান-!!


আগেকার দিনে রাজা-বাদশাহরা শাহী পান খেতেন বলে জনশ্রুতি আছে। নানা গল্পগাথায় রাজ-রাজরাদের পানবিলাসের এন্তার বর্ণনা মেলে। সেসব পান সাজানো হতো দুর্লভ সব মসলা দিয়ে। মেশানো হতো বহুমূল্য সুগন্ধি। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল মোরব্বা, খেজুর, খোরমা, তানশিন, তেরেঙ্গা, চমন বাহার, এলাচ, গুন্তি, তবক, ইমাম, শ্রীকান্ত, নারিকেল, কিসমিস, সেমাই, স্লাচ, ঝুড়া ইত্যাদি

বর্তমানে শাহী খিলিপানে যেসব মসলা মেশানো হয় সেগুলো হচ্ছে- তানশিন, তেরেঙ্গা, চবন বাহার, এলাচ, গুন্তি, তবক, ইমাম, শ্রীকান্ত, নারিকেল, কিসমিস, সেমাই, স্লাচ, ঝুড়া, মিক্সার, মোরব্বা, খেজুর, খোরমা,  সেমাই, এলাচ, দারচিনি, লং, গোলমরিচ, পিপারমেন্ট, লাউ। এছাড়া এমন অনেক মসলাই আছে, যেগুলোর নাম তাদেরও জানা নেই। কেবল পানে মসলার আইটেম ও স্বাদ বাড়ানোর জন্যই দেন তারা।

রবিবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০১২

অরুণোদয়ের তরুণদল


আজকেই দেখলাম এয়ারটেল প্রযোজিত টেলিফিল্ম ‘অরুণোদয়ের তরুণদল’ পরিচালনা করেছেন সামির আহমেদ। এছাড়া এখানে যাঁরা অভিনয় করেছেন, তাঁরা সবাই বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্রছাত্রী। টেলিফিল্মটির নাট্যরূপ দিয়েছেন ফুয়াদ নাসের। টেলিছবিতে ছিলও চারটি গান। টেলিছিবিটির আবহসংগীত এবং সব কটি গানের সুর ও সংগীত পরিচালনা করছেন অর্ণব। অভিনয় করেছেন রাইসুল ইসলাম আসাদ, শতাব্দী ওয়াদুদ, কিসলু এবং শাহেদ আলী। পাঁচ বন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন আসিফ, স্পর্শিয়া, আরাবী, আফজাল এবং রিমন।

বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রতিবারই দেখা গিয়েছে যে শোষণের বিরুদ্ধে মাথা তুলে দাড়ানোর আন্দোলনে সবার আগে এগিয়ে এসেছে তরুণরাই। শোষকরা যতই অত্যাচার চালাক না কেন, তরুণদের বাধা দেওয়ার ক্ষমতা কারো মধ্যে ছিলোনা। বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভূত্থান আর তারপর একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধ; প্রত্যেক সময়ে সবার আগে মাথা উঁচু করে এগিয়ে গিয়েছে এদেশের তরুণরা। আর সেই চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়েই তৈরি করা হয়েছে টেলিফিল্ম অরুণোদয়ের তরুণদল

বুধবার, ১১ জানুয়ারী, ২০১২

এলোমেলো ভাবনা


ধুসর পৃথিবীটা এখন মাঝে মাঝে মলিন মনে হয়। এলোমেলো ভাবনায় হিজিবিজি কথা, ভাবনায় এনে দেয় হাজারো সুরের ঝংকার। একসময় অনেক কিছুই ভালো লাগত। এখন আর আগের মত কিছুই ভালো লাগে না। সব কিছু মনে হয় প্রবঞ্চনা। সেই চেনা সুরও অচেনা মনে হয়। ভালবাসার রঙ্গিন স্বপ্ন গুলোয় ছায়া পরে গেছে। এখন সেই স্বপ্ন গুলকেও শুধু ধুসর মনে হয়। কবে তাদের মুক্তি দিতে পারবো, আমি জানি না। আমি কবে খুঁজে পাবো আমার হারানো সুর। আর সেই সুরে আমি হারাতে চাইবো। কেমন করে হারাতে হয় আমি জানি। তাই খুব তাড়াতাড়ি মনে হয় হারাতে পারবো।

সোমবার, ২ জানুয়ারী, ২০১২

নিস্তব্ধ রাতের এলোমেলো কথন


ইদানিং লিখতে বড্ড আলসেমি লাগে। কিছুই লিখতে ইচ্ছে করে না। বরং সময় কেটে যাচ্চে নীরবে, অগোচরে। সব কিছুতেই অবসাদ! সব কিছু অল্পতেই এলোমেলো হয়ে যায়। জীবনটা মনে হয় এমনি এমনি-ই কেটে যাবে! রাতের অন্ধকার গ্রাস করেছে সব কিছুকে। কোথাও নেই কোন কোলাহল। রাতের এই নির্জনতায় আছে শুধু বিষাদ মাখা অন্ধাকার আর আমি। নিকষ কালো মেঘের আধারে আমার ছেড়া সপ্নেরা জাল বুনে। ব্যস্ততার দোহাই দিয়ে আমার স্বপ্ন গুলো সব ঝিমিয়ে পড়েছে। নীস্তব্ধ নীরবতায় সব কিছু থমকে আছে। হঠাৎ কিসের যেনো শব্দ!! মনে হয় কেউ কাদঁছে। এ যেন নির্জনতার কান্না! ঠিক আমার কান্নার মতই। আমি নির্বাক!! নির্জন পৃথিবী, নিষ্প্রান পৃথিবী, কোথাও নেই কোন কোলাহল। আছে অন্ধকার ঘেরা বিষাদের প্রসাদ। আমি জেগে আছি শুধু সেই সময়ের অপেক্ষায়..........!!